ইউপি সদস্য ও জামায়াত কর্মী অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ তুলে কোটচাঁদপুর থানার ওসি ও দু এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ইউপি সদস্য ও জামায়াত কর্মী আবুল কালামকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ তুলে কোটচাঁদপুর থানার ওসি ও দু এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গতকালবুধবার বিকেলে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ জানায়, গত ২৮ এপ্রিল আবুল কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলামের বিচারিক আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তদন্ত সাপেক্ষে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কোটচাঁদপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে নেবার নির্দেশ দিয়েছে।

মামলায় বাদী হাসিনা বেগম অভিযোগ করছেন, কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়নের ৮নং বলাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য তার স্বামী আবুল কালামকে মুখ বেঁধে গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে প্রকাশ্যে নিজ বাড়ি থেকে লাল রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে একদল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে কোটচাঁদপুরের গুড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত হিসাবে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, এসআই মিজান, বাজার গোপালপুর ফাঁড়ির এএসআই শিবুপদ দত্তসহ বলাবাড়িয়া এলাকার মতিয়ার রহমান কালু, মজনুর রহমান, শাহিনুর রহমান, জাহিদুল মাস্টার ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্ত আসামিরা হাসিনা বেগমের স্বামী আবুল কালামকে বাজারগোপালপুর ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী বাঁধা দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করে। ঘটনার ৩দিন পর ২১ এপ্রিল আবুল কালামের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় সদর উপজেলার মামুনশিয়া গ্রামে। তাকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে বলে আদালতের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, পুলিশকে বিতর্কিত করতে এমন অভিযোগ আদালতে করা হয়েছে। তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি। এসব থেকে রেহাই পেতে উল্টো অভিযোগ, মামলা করছে। আইনি প্রক্রিয়ায় এসব মোকাবেলা করা হবে বলে তিনি জানান।

তবে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরও জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ গুলি করে তার স্বামীকে হত্যা করেছে, তিনি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবেন বলে জানিয়েছেন।