ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছে কয়রাডাঙ্গা ঈদগা কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের নামে দায়ে করা মামলা প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছে কয়রাডাঙ্গা ঈদগা কমিটি। কয়রাডাঙ্গা ঈদগা কমিটির সভাপতি মিলন মিয়া স্বাক্ষরিত এবং ২০৫ জন গণস্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, গত ২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় হাঁপানিয়া ঈদগাহে মাঠে মারামারি হয়। ওই ঘটনায় চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের নামে ১নং আসামি করে হাপানিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে মামলা করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, দুঃখজনক ও হাস্যকর। যাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে তিনি ওইদিন একই সময়ে কয়রাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। তিনি নামাজ শেষে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগা মাঠে উপস্থিত থেকে ইসলামিক ও গ্রামের উন্নয়নমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ইউনিয়ন ও গ্রামের সকল মাদরাসা, মসজিদ, এতিমখানা ও ঈদগাহের উন্নয়নের আশ্বাস দেন। ঘটনার সময় কয়রাডাঙ্গা ঈদগাহে উপস্থিত বক্তব্যের ছবিসহ সকল প্রমাণ রয়েছে। তাহলে একই সময়ে হাঁপানিয়া গ্রামের ঘটে যাওয়া মারামারিতে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান কিভাবে উপস্থিত থাকতে পারে? কেনই বা তার নামে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলো? যে ঘটনায় জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না সে ঘটনায় তাকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়রানি ছাড়া আর কিছু না। মামলার বাদি দেলোয়ার হোসেনকে এ ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাছি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ আলমডাঙ্গা থানা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পত্র দিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের সময় আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়া গ্রামের দু পক্ষের মারামারি হয়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাঁপানিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। মারামারির ওই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল আবেদীন নামের একজন মারা যান। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।