আ.লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে নজিরবিহীন কাজ করছে

চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামারবাড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হুইপ ছেলুন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামারবাড়ির নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ফিতে কেটে ও ফলক উন্মোচনের মধ্যদিয়ে খামারবাড়ির নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে নবনির্মিত ভবনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক খাইরুল আবরারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়া জোনাল কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাক্তন অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফর রহমান ও উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্তির, সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফি উদ্দিন টিটু, যুবলীগ নেতা মহিবুল ইসলাম মন্টু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমীন আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিন্নাহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশকে বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্যদিয়ে নতুন সাজে সজ্জিত করছে। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তা বাস্তবায়ন করছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন ইতিহাসে নজিরবিহীন। বর্তমান চুয়াডাঙ্গা আর প্রাচীন চুয়াডাঙ্গার মধ্যে যে পার্থক্য তার প্রমাণ সাধারণ জনগণ। আমরা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতি করি। কিন্তু আ.লীগ নামধারী কিছু ব্যক্তি আছে তারা প্রকৃতপক্ষে আ.লীগার নয়। তারা তাদের স্বার্থ হাছিলের জন্য আ.লীগের সাইনবোর্ড গায়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে ভণ্ড ও প্রতারকদের কার্যক্রম বেশি দিন স্থায়িত্ব হয় না।

বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আ.লীগ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার অঙ্গীকার করেছিলো। বাংলাদেশ যে আজ ডিজিটাল হয়েছে তার প্রমাণ জনসাধারণ। আজ চুয়াডাঙ্গা একটি মডেল শহরে পরিণত হয়েছে। এর আগে চুয়াডাঙ্গায় এতো উন্নয়ন হয়নি। আজ আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিজ জেলায় কম খরচে ভার্সিটিতে লেখাপড়া করতে পারছে। এছাড়া নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র এ সরকারের সময়েই। কৃষিতে নতুন নতুন যন্ত্রের আবিষ্কার হয়েছে। বেশ কিছু পদ্ধতিতে কৃষকেরা একই মরসুমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছেন। যা আগে হয়নি। কিন্তু আ.লীগ নামধারী বিশ্বাসঘাতকদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। কেননা তারা তাদের নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নানা ফন্দি আটছে। ইতিহাসে দেখা যায় বিশ্বাসঘাতকরা ধ্বংস হয়ে গেছে। কাক যতোই ময়ূর সাজুক না কেন, তার আসল চেহারা একদিন প্রকাশ হয়।

বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়া জোনাল কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাক্তন অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফর রহমান, উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে।