আসামি নাজমুলের আদালতে আত্মসমর্পণ : ছামছদ্দিনের রিমান্ড নামুঞ্জুর

চুয়াডাঙ্গা খাসপাড়ায় রিপন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর খাসপাড়ার রিপন হত্যাকারী আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মামলার অন্যতম আসামি সড়াবাড়িয়ার নাজমুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। এদিকে খুনি মঈনের পিতা ছামছদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশের করা আবেদন আদালত নামুঞ্জুর করেছে। পরিবারের একমাত্র উর্পাজনখম সন্তান রিপনকে হারিয়ে পরিবারের লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের মোতালেব সকারের ছেলে রিপনকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুমকরার অপচেষ্টা চালিয়েছে সেসব হত্যাকারীদের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় গবরগাড়া-সড়াবাড়িয়া সড়কে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। মানববন্ধনে রিপন হত্যার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোরদাবি জানিয়েছে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। এদিকে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের দফায় দফায় অভিযানে উপায়ান্ত না পেয়ে মামলার অন্যতম আসামি সড়াবাড়িয়া গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে নাজমুল গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে খুনি মঈনের পিতা মামলার আসামি ছামছদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশের করা আবেদন আদালত নামুঞ্জুর করেছে। নাজমুলের আত্মসমর্পণ করার মধ্যদিয়ে মামলার আসামি মূলহোতা শামসুল হক ওরফে ছামছদ্দিনের ছেলে মুহিন উদ্দিন ওরফে মঈন, পিতা ছামছদ্দিন, সড়াবাড়িয়া গ্রামের নাজমুল বর্তমানে জেল হাজতে আছে। এজেহার নামী আসামি মঈনের ভাই খোকন রয়েছে পলাতক। এদিকে রিপন ছিলো ওই পরিবারে একমাত্র উর্পাজনক্ষম সন্তান। উর্পাজনক্ষম সন্তান হারিয়ে পিতা, মাতা, স্ত্রী, পুত্র বোনেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর রাতে গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের সরকারপাড়ার শামসুল হক ওরফে ছামছদ্দিনের ছেলে মুহিন উদ্দিন ওরফে মঈনের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সন্দেহে মোতালেব সরকারের ছেলে রিপনকে (৩০) পরিকল্পিতভাবে খুন করে এবং লাশ গুমকরার উদ্দেশে পাটের জাগের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরেরদিন সকালে মানচেগাড়ির বিলের পাট জাগের নিচ থেকে রিপনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রিপনের সেজোবোন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ছামছদ্দিন, ছেলে মঈন ও খোকন এবং সড়াবাড়িয়া গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে নাজমুলসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামালার প্রধান আসামি মঈন খুনের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।