আসছে গরু কমছে দাম

স্টাফ রিপোর্টার: কোরবানি ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর পশুর হাটগুলোয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু, ছাগল, মোষ আসতে শুরু করেছে। প্রচণ্ড গরম আর যাত্রাপথের ধকলে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে পশুগুলো। তবে ভারতীয় ও মিয়ানমারের গরু আসায় কোরবানির পশুর দাম ক্রয় ক্ষমতার ভেতর থাকবে।

কয়েকজন গরু ব্যাপারী জানান, গত বছর কোরবানির পশুর হাটে ৫০ হাজার টাকায় যেসব গরু বিক্রি হয়েছে, সেই সাইজের গরুর দাম দুই সপ্তাহ আগেও এক লাখ টাকা হেঁকেছিলেন গৃহস্থরা। তবে ভারতীয় গরু আসায় এখন সেসব সাইজের গরুর মূল্য ৭৫ হাজার টাকা চাইছেন খামারিরা। দরকষাকষি করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে একাধিক ব্যাপারী জানান, গরুর দাম এবার খুব বাড়বে না। ছোট-বড় খামারিরা এবার বেশি লাভ করতে চাইলে ধরা খাবেন। কারণ হঠাত করে ভারতীয় গরুর সংখ্যা বাড়তে পারে। এমন আলামত দেখা যাচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় রায় বলেন, একদম তৃণমূল থেকে অর্থাৎ ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমাদের তথ্য অনুযায়ী এবার কোরবানির জন্য ৪০ লাখ ৮৮ হাজার গরু প্রস্তুত আছে। গত কয়েক বছর থেকে আমাদের দেশেও প্রচুর গরুর খামার গড়ে উঠেছে। লাভজনক হওয়ায় মানুষ এখন গরু পালনের দিকে ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, খাদ্য উদ্বৃত্তের মতো গরু-ছাগল অর্থাৎ পশুর সংখ্যাও আমাদের প্রয়োজন মেটাবার মতো হবে।

সীমান্ত দিয়ে বৈধ-অবৈধ উভয়ভাবেই পশু আসছে। সরকার বৈধভাবে গরু আনার অনুমতি না দিলেও এসব গরু আসাতে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আবার সীমান্ত দিয়ে গরু আসাতে বগুড়ার গাবতলী পশুরহাটে ব্যাপারীরা এখন স্পষ্ট দুই শিবিরে বিভক্ত। একপক্ষ চায় ভারত থেকে গরু আসুক। তবে অন্যপক্ষ চায় ভারতের গরু যেন না আসে। দেশের টাকা দেশেই থাকুক। দেশি গরু যারা পালন করেন তারা যেন একটু লাভের মুখ দেখতে পান।

বগুড়ার একজন খামারি জানান, সীমান্ত দিয়ে গরু আসায় ব্যবসায়ীরা হতাশ। কেননা, এ মুহূর্তে দেশে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। এখন ভারত থেকে গরু এলে দেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে, এমনটাই অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

গত শনিবার থেকে ভারতীয় গরু আসতে শুরু করে। বেনাপোল সীমান্তের পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্ত দিয়েও গরু আসছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভ্যাট অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জানান, বেনাপোল সীমান্তে সরকার অনুমোদিত ৫টি গরু খাটাল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- পুটখালী খাটাল, অগ্রভুলোট খাটাল, রুদ্রপুর খাটাল, দৌলতপুর খাটাল ও গোঁগা গরু খাটাল। গড়ে প্রতিটি খাটাল দিয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ গরু আসছে প্রতিদিন। এদিকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েও আসছে গরু।

টেকনাফ কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাস থেকে এ সীমান্ত পথে পশু আসতে শুরু করেছে। জুলাই মাসে ১ হাজার ১৪২টি, আগস্ট মাসে ১২ হাজার ২৪টি পশু দেশে এসেছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে মোট পশু এসেছে তিন হাজার। এর মধ্যে গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে।

এর পাশাপাশি চোরাই পথেও অনেক গরু আসছে। টেকনাফের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হিসাবে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার গরু এসেছে। ঈদের আগে আরও প্রায় ৫০ হাজার গরু আসতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

স্থানীয় একজন সাংবাদিক জানান, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে গরু কম আসতে পারলেও ভারতের বশিরহাট থেকে ইছামতি নদী পার হয়ে চোরাই পথে অনেক গরু আসছে বলে জানা যায়। এখানকার দোভাটা, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অনেক গরু আসছে। এসব গরু করিডোর দিয়ে সিল না মেরেই নিয়ে যাচ্ছে খুলনাসহ বড় বড় শহরে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এসব গরু করিডোর দিয়ে না নেওয়ায় সরকার রাজস্বও পাচ্ছে না। ভ্যাট আদায়কারীরা ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অনেক গরু পাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারতীয় গরু আসা সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ায় কোরবানির পশুসংকটের আশঙ্কা করা হয়েছিল, এখন প্রচুর গরু আসছে। এরই মধ্যে ভারত, মিয়ানমার থেকে প্রতিদিনই গরু আসছে। ভারতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কোরবানির গরু পাচারের পথও উš§ুক্ত হয়েছে। এসব প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে গরু ঢোকা শুরু হলে চাহিদার তুলনায় জোগান কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এতে শেষ সময়ে বাজারদরে বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কাও করছেন খামারিরা। যশোর, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার খামারিরা ভারতীয় গরু প্রবেশ ঠেকানোর দাবি পর্যন্ত করছেন। তবে বিবিসি বাংলা বুধবার জানায়, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সীমান্তপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আসছে। গত কদিনে দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে বিপুল গরু ঢুকছে। ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশে গরু প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে।

ব্যাপারীরা জানান, নানা কারণে কোনো অঞ্চলে গরুর দাম এবার একটু চড়া হতেও পারে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, পাবনা, মেহেরপুর ও দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে বর্তমানে গরুবাহী প্রতিটি ট্রাকের ভাড়া গড়ে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। চার মণ মাংস পাওয়া যাবে- এমন ১৫ থেকে ১৬টি গরু পরিবহন করা যায় একেকটি ট্রাকে। কোরবানির সময় এসব গরুবাহী ট্রাকের ভাড়া এক লাফে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এছাড়া পথে পথে নানা ধরনের চাঁদাবাজিসহ হাট-খরচ তো আছেই।

বেসরকারিভাবে চাষকৃত জৈবিক সম্পদ শীর্ষক এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার। এর মধ্যে ষাঁড় এক কোটি ৯ লাখ ৭৬টি এবং গাভীর সংখ্যা ১ কোটি ৭২ লাখ ১৩ হাজারটি। মহিষের সংখ্যা ৫ লাখ ৫২ হাজার। এর মধ্যে ষাঁড়-মহিষ ২ লাখ ৬৭ হাজারটি। ছাগলের সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ৮৮ হাজারটি। ভেড়া ১৩ লাখ ৮৫ হাজারটি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮৬ লাখ ২২ হাজার গরু-মহিষ জবাই হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭২ লাখই গরু। ঈদুল আজহায় প্রায় ৩৫ লাখ গরু কোরবানি হয়েছিল। প্রতিবার দেশি গরুতেই কোরবানির ৭০ শতাংশ চাহিদা মেটে। বাকি ৩০ শতাংশ ভারত থেকে আসে। কিন্তু ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সে দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গরু পাচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

সরকারিভাবেও পশুর ব্যাপারে এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কিছুটা নমনীয় হওয়ায় বেনাপোলসহ প্রায় ৩০ সীমান্ত দিয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসছে গরু।

পশুর হাট শুরু আজ: রাজধানীতে আজ শনিবার থেকে পশুর হাট শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় গরু, ছাগল, মোষ আসতে শুরু করেছে। গায়ে ভেজা কাপড় ও ওপরে শামিয়ানা দিয়ে গরম থেকে গরুকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই হাটগুলোতে কোরবানির পশুর সংখ্যা বাড়ছে। ট্রাকে ট্রাকে গরু আনা হচ্ছে।

১৮টি গরু নিয়ে ঢাকায় পা দিয়ে খুশিই হয়েছিলেন সাজু লাল মোল্লা। আশা ছিলো, কোরবানির হাটে বিক্রি করে ভালোই মুনাফা হবে। প্রচণ্ড গরম আর যাত্রার ধকলে তিনটি গরুই মরে গেছে। গরুর শোকে এখন কেঁদেকেটে অস্থির সাজু লাল। হাটের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আর এম ইন্টারন্যাশনালের এক তদারককারী বাদল বললেন, প্রথম গরুটি মারা যাওয়ার পর আরও দুটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দুটি গরুর চিকিৎসা করানোর জন্য পশু চিকিৎসক আনা হয়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

ব্যাপারীরা বলেন, চিকিৎসক বলেছেন গরমের কারণে রাজধানীর হাটগুলোতে পশুদের নাকাল অবস্থা। পশুগুলোকে স্বস্তি দিতে ভেজা কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাখা হচ্ছে। গোসল করানো হচ্ছে। প্রচুর পানিও পান করানো হচ্ছে। মোহাম্মদপুরের ওই গরুর হাটের পাশেই একটি ছোট ডোবা রয়েছে। বিক্রেতারা গরুগুলোকে সেখানে গোসল করাচ্ছেন।

তিনটি গরুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন সাজু মোল্লা। হাটের অন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রথমে একটি গরু বসে পড়ে। কিছুক্ষণ পর এটি মারা যায়। এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে অন্য দুটি গরু বসে পড়ে। এ অবস্থায় দুটি গরু জবাই করা হয়।

সরেজমিন মোহাম্মদপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে গরু রাখার জায়গা তৈরি করতে গিয়ে বালু ফেলা হয়েছে। ওপরে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। সকাল থেকে বালুর ওপর রোদ পড়ে গরমের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। যেসব ব্যবসায়ী ভারী শামিয়ানা ও গাছের নিচে গরু রাখতে পেরেছেন, তারা অন্যদের চেয়ে স্বস্তিতে আছেন।

পশুর বাজারদর নিম্নমুখি হবে!: উত্তরাঞ্চল থেকে ট্রাকে রাজধানীর পশুর হাটে নিয়ে আসা হচ্ছে গরু। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গরুর হাটে গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জের একজন গরু বিক্রেতার তিনটি গরু মারা গেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অন্য গরু ব্যবসায়ীরা।

শাজাহানপুর উপজেলার রুস্তুম আলি জানান, গরু মোটা তাজাকরণের জন্য দীর্ঘ পথ, যানজট আর তীব্র গরমে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছে ট্রাকে থাকা একটি গরু। এ কারণে গরুর নাকে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়। তীব্র গরমের কারণে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা পশুর হাটের পাশে একটি ডোবার পানিতে গোসল করানো হচ্ছে গরুগুলোকে। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দিতে গরুর গায়ে ভেজা কাপড় জড়িয়ে রেখেছেন একজন বিক্রেতা। এক সময় গরুসংকটের আশঙ্কায় অনেক ব্যাপারি চড়া দামে গরু কিনেছেন। অথচ কয়েকদিন ধরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় গরুর পাইকারি বাজারদর এখন নিম্নমুখি।

ভারতীয় গরুর আধিক্য: আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ হয়ে রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা এবং আসামের ধুবরি থেকে গরু পাচার বেড়েছে। বিএসএফের একাংশের সহযোগিতায় দেশে গরু আসছে। এক্ষেত্রে বিএসএফের নিম্নস্তরের সদস্যরা গরুপ্রতি তিন হাজার টাকা পান। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ভারতীয় গরু ততই বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারেও ভারতীয় গরুর আধিক্য দেখা গেছে।

১৫ লাখ ভারতীয় সীমান্তে জড়ো: এদিকে জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তের ৩১টি করিডোর এলাকায় সেখানকার গরু ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৫ লাখ ভারতীয় গরু এনে জড়ো করেছেন। বিএসএফ তাদের আগের কঠোর অবস্থান থেকে অনেকটা সরে আসায় যে কোনো সময় তা বাংলাদেশে ঢুকবে। একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ভারত ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সমঝোতায় আজকালের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেশে একযোগে ঢুকতে শুরু করবে ভারতীয় গরু।

কোরবানির হাটে পশুসঙ্কট থাকবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেছেন, কোরবানির হাটে গরুর কোনো সঙ্কট থাকবে না। নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণে সারাদেশের প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা দেবে। জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ আসন্ন ঈদ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে সে লক্ষ্যে পশুর হাটগুলোতে সার্ভিলেন্স টিম কাজ করছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারি পর্যায়ে সারাদেশে কোরবানি উপযোগী ৪০ লাখ গরু ও ৬৯ লাখ ছাগল প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কোরবানির জন্য গরু ও ছাগলের কোনো সংকট হবে না।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি অজয় রায় বলেন, সরকার আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গরুতেও দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খামারিদের গরু লালন-পালনে উৎসাহিত করতে ২০০ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করেছে। এই টাকার পরিমাণ সামনের বছর আরও বাড়ানো হবে।