আলোচনার আশ্বাসের পর ইজিবাইক মালিক সমিতির পরিবহন ধর্মঘটের ডাক স্থগিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় অটোরিকশা মালিক-চালকদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের আলোচনার পর সাতদিনের জন্য পরিবহন ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইজিবাইক মালিক সমিতির নেতারা।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাসশ্রমিক ও অটোচালকদের দ্বন্দ্বের কারণে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের ভিমরুল্লা নামক স্থানে দুপক্ষের শ্রমিকদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।বিরোধের জের ধরে চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইক মালিক সমিতি আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। গতকাল সোমবার দুপুরে সমিতির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করে এ ধর্মঘট আহ্বানও করা হয়।মাইকিং চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে থানা পুলিশ মাইকং করা অটোসহ চালককে আটক করে থানায় নেয়। অটোচালকগণ স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।এ সময় পুলিশ অটো ভাঙচুর করে।

অটোচালক সমিতির সভাপতি ওমর আলী জানান, স্থানীয় বাসমালিক সমিতির লোকজন ইজিবাইকের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় বাধ্য হয়ে তারা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলো। পরে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে ইজিবাইক মালিক সমিতির নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাতদিনের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের কর্মসূচি স্থগিত করেন। বিষয়টি সমিতি সহসভাপতি আহাদ আলী নিশ্চিত করেছেন।

অটোচালকদের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক জানান, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে বাসশ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল শ্রমিক শহরের পৌর এলাকার ভিমরুল্লাতে অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচলে শহরে প্রবেশে বাধা দেয়ায় বাস শ্রমিকদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। তবেবেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ও দামুড়হুদা থানার এসআই আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ততোক্ষণে বাসশ্রমিকদের আর কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। এসময় বাস চলাচল স্বাভাবিক হলেও অটোরিকশা ও থ্রিহুইলার চলাচলে বাধা দেয় পুলিশ। ক্ষিপ্ত হয়ে এসময় অটোরিকশা ও থ্রিহুইলার চালকরা সড়কে বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে। পুলিশ থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে অটোচালকরা সিঅ্যান্ডবিপাড়া নিজস্ব কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। অটোমালিক সমিতির নেতারা আজ মঙ্গলবার থেকে চুয়াডাঙ্গায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের দাবিতে শহরে মাইকিং করেন। একপর্যায়ে পুলিশ প্রচারে বাধা দেয়ায় মাইক কেড়ে নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওইসময় অটোচালকরা বিক্ষোভ করে শহীদ হাসান চত্বরে অটো দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অটোচালকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি আসাদুজ্জামান জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তে শহরে অটোরিকশা ও থ্রিহুইলার প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।