আলমডাঙ্গা শহরের আশপাশের গ্রামে চলছে মাদকদ্রব্যের জমজমাট ব্যবসা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: শুধু আলমডাঙ্গা শহর নয়, আশপাশের গ্রামে চলছে মাদকদ্রব্যের জমজমাট ব্যবসা। সেই সাথে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মাদকাসক্তদের সংখ্যা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরজুড়ে নিয়ন্ত্রণহীন মাদকদ্রব্যের জমজমাট ব্যবসা চলছে। শুধু আলমডাঙ্গা শহরেই এ সর্বনাশা মাদকদ্রব্যের ব্যবসাই চলছে না, আশপাশের গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে এ ব্যবসা। আলমডাঙ্গা শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম ডামোশে চলছে রমরমা মাদকব্যবসা। এ গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হলো নিজু ও মঞ্জু। গভীররাত পর্যন্ত তাদের ডেরাই চলে মাদকদ্রব্যের বিকিকিনি। সন্ধ্যার পর নিজুর বাড়িতে উঠতি বয়সী ও যুবকদের লাইন পড়ে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে। এ চিহ্নিত মাদকব্যবসারা ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ও বিভিন্ন ধরনের যৌনউত্তেজক ইনজেকশন বিক্রি করে থাকে। পার্শ্ববর্তী কাশিপুরের চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম, নাগদার জামাল, মুন্সিগঞ্জের আনসার আলী, পাঁচলিয়ার মুক্তা, বেলগাছি গ্রামের ছিপা ও মজিদ, খেজুরতলার মতিয়ার, হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গার পাঞ্জাব, ওসমানপুরের সন্ন্যাসী, হারদীর সাধুর মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ওপেন সিক্রেট। এরা সকলেই ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা বিক্রি করে থাকে। অনেকেই বাংলা মদও বিক্রি করে। গ্রামাঞ্চলে এ সকল ওপেন সিক্রেট মাদকব্যবসার ফলে সামাজিক পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে। এক শ্রেণির নেশাখোররা নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ছে। অনেক নেশাখোর যুবকরা নেশার টাকার জন্য বাবা-মাসহ স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে। এমনকি মারপিটও করে। ওই ধরনের নেশাখোরদের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা চরমাতঙ্কে জীবনযাপন করে আসছে। সবচে প্রভাবিত হচ্ছে উঠতি বয়সীরা।

আলমডাঙ্গা শহরকে মাদকব্যবসায়ীরা সবচে নিরাপদ মনে করে। সেকারণে পুটিমারী গ্রামের শামীম এখন আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বসবাস করেই জমজমাট মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইবি থানায় বাড়ি অশোক কুমারের। সেও বর্তমানে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া থেকে জমজমাট মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকের অভিযোগ অশোকের সাথে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ গ্রুপের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া ইবি থানার বক্কর আলী এখন আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার পূজামণ্ডপের পেছনে ভাড়াবাড়িতে থেকে জমজমাট মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। শহরের কোটপাড়ার রাজ্জাক ইয়াবা, ফেনসিডিল ও বাংলা মদের ব্যবসা চালাচ্ছে। সে ইবি থানার কয়েকটি স্পটে মাদক দ্রব্য সাপ্লাই দেয় বলে অনেকের অভিযোগ। এছাড়া কলেজপাড়ার রাজ্জাকও মাদকের জমজমাট ব্যবসা করে চলেছে। আলমডাঙ্গা শহরের প্রভাবশালী আরেক পাইকারি জমজমাট মাদকব্যবসা সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনেরও অজানা নয়।