আলমডাঙ্গা মহেশপুরের গৃহবধূ অপহরণ : দু লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

 মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ার মহেশপুর গ্রামের গৃহবধূ অপহরণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের কয়েক ঘণ্টার পর একটি মোবাইলফোন থেকে দু লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। গৃহবধূর পরিবার চরম আতঙ্কে দিন যাপন করছে। এ ব্যাপারে আলমাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের জসিমের স্ত্রী ৩ কন্যাসন্তানের জননী জাহেদাকে (৩২) গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ গ্রামের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে অপহরণ করেছে অজ্ঞত সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ রোয়াকুলি গ্রামের অপহৃত জাহেদার পিতা আক্কাচ অভিযোগ করে জানান, গত ২০ বছর আগে মহেশপুর গ্রামের রেজাউলের ছেলে জসিমের সাথে জাহেদার বিয়ে হয়। তাদের ৩টি কন্যাসন্তান রয়েছে। জামাই জসিম এলাকার সালেহা নামের একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মেয়েকে নির্যাতন করতো। গত শনিবার সকালে গ্রামের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে ৩/৪টি মোটরসাইকেলযোগে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। বিকেলে একটি মোবাইল থেকে ফোন করে দু লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে, তোর মেয়ে এখন আমাদের কাছে, টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে লাশ গুম করা হবে। তিনি মোবাইলফোনের কথা বিশ্বাস না করে জামাইবাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। জামাই জসিমের ব্যবহার রহস্যজনক। বাড়ি এসে সেই নম্বরের মোবাইলফোনে মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে রাত ১০টায় জাহেদার সাথে তার পিতার কথা বলিয়ে দেয়। জাহেদা মোবাইলফোনে অপহরণের ঘটনা জানিয়ে বলে অজ্ঞাত এক মাঠের মধ্যে রেখে মারধর করছে। টাকা না দিলে খুন করবে বলে জানিয়েছে।

অপরদিকে মেয়ে অপহরণের বিষয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জাহেদার পিতাসহ পরিবারের লোকজন। গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় জামাই জসিমের নামে শ্বশুর আক্কাচ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।