আলমডাঙ্গা থানাপাড়ার জার্মান প্রবাসী জামসেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা : এক সাক্ষী ও এক বিবাদীর ভিন্নমত

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা থানাপাড়ার জার্মান প্রবাসী জামসেদ আলী ও তার স্ত্রী স্বর্ণাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মানবপাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দায়েরকৃত মামলার ১নং সাক্ষী ওয়ায়েছ কুরুনী টিটো বলেছেন, জামসেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানকে জার্মানিতে নিয়ে আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়ার বানোয়াট প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অনেকেই জানেন।

চুয়াডাঙ্গা পুরাতনপাড়ার ওয়ায়েছ কুরুনী টিটো বলেছেন, আমার হাত দিয়েও ৬ লাখ টাকা মামলার অপর সাক্ষী কাকনের মাধ্যমে নিয়েছে ওই চক্র। কবে কীভাবে কতো টাকা ওই সঙ্ঘবদ্ধ চক্র নিয়েছে তার প্রমাণ মামলার বাদীর কাছে রয়েছে বলেই মামলা করেছে। যা বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালের বিচার্য বিষয়। তা ছাড়া মামলার বাদীসহ তার স্ত্রী-সন্তানকে জার্মানিতে নেয়ার কথা বলে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে কীভাবে নির্যাতন করেছে, সেখানে বসে কতো টাকা কীভাবে আদায় করেছে তা যেকোনো ব্যক্তি শুনলে গা শিউরে উঠবে। আমার মাধ্যমে টাকা দেয়া হয় বলেই বোধ করি আমাকে সাক্ষী রেখেছে। অথচ এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। পক্ষান্তরে মামলার বিবাদী চুয়াডাঙ্গা জিনতলাপাড়ার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেছেন, আমার জামাই ও মেয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। গত ৯ জুলাই দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘জার্মানিতে নেয়ার কথা বলে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে পাচারের চেষ্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে স্বপ্না বেগম বলেছেন, ওয়ালিয়ার রহমান বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন তা সঠিক নয়। আমার মেয়ে-জামাই তার পরিবারকে বিদেশে পাঠানোর জন্য টাকা পয়সা নেয়নি। আমার জামাইয়ের বড় ভাই আব্দুল মজিদ ও আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তাও মিথ্যা। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এ মামলা করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদলিপিতে দাবি করেছেন স্বপ্না বেগম।

এদিকে ওয়ায়েছ কুরুনী টিটো বলেছেন, আমার তিন বোনই বিবাহিতা। ওরা নিজেদের সংসার নিয়ে থাকেন। অথচ বানোয়াট মনগড়া অভিযোগ তুলে একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে আমি নাকি আমার তিন বোনসহ মাকে তাড়িয়ে দিয়েছি। বানোয়াট এ অভিযোগ কতোটা মিথ্যা তা প্রতিবেশীরা জানেন। যারা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, জামসেদ আলী আমার ভাগ্নিজামাই। মামলার বাদী ওয়ালিয়ার রহমান আমার ভায়রা। ভাগ্নিজামাই হলেও ওয়ালিয়ার রহমানের নিকট থেকে শুধু টাকাই হাতিয়ে নেয়া হয়নি, তাকে নিয়ে যা করা হয়েছে তা অন্যায়। এর বিচার হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর এলাঙ্গীর মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ওয়ালিয়ার রহমান বাদী হয়ে সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরই ভিত্তিতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।