আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের চাকরি বিধি লঙ্ঘণ করে একই সাথে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও বেতন ভাতা সহ সকল সুবিধা ভোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক আলমডাঙ্গা আনন্দধাম এলাকার হায়দার আলীর ছেলে ড. মহাবুব আলম একই সাথে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। তিনি সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক ও চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত ফাষ্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ৪ বছর ধরে কোনোরকম বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে উভয় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবাদে বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসছেন। এ ব্যাপারে সরেজমিন আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে অনুসন্ধান করে জানা গেছে গতকাল দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তার দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস থাকলেও তাকে ক্লাসে কিংবা কলেজের কোথাও পাওয়া যায়নি। কলেজের তৃতীয় তলার ২নং রুমে ক্লাসটি হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. মহাবুব আলমকে পাওয়া যায়নি। ফাঁকা ক্লাসরুম থেকেই তার মোবাইলফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কলেজের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনুপস্থিতে দায়িত্বরত অধ্যক্ষ পরিসংখ্যান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক আলম হোসেন তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে একটি সূত্রে জানা যায় তিনি যথারীতি অন্যান্য দিনের মতো সকালে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ফাষ্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটিতে দায়িত্ব পালন করতে গেছেন। এদিকে প্রভাষক ড. মহাবুবের পক্ষ নিয়ে উত্তেজিত হয়ে এই প্রতিবেদকে ওই সময়ের ক্লাস এক ম্যাডামের বলে জানালে প্রতিবেদক ক্লাস রুটিং এ মহাবুব আলমের নাম আছে তার প্রমাণ থাকার কথা বললে চুপ হয়ে যান।
গত ১৫ জুলাই সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রথম বর্ষ একাদশ শ্রেণি ও ১১টা ২০ মিনিটে প্রথম বর্ষ ¯œাতক শ্রেণির ক্লাস প্রভাষক ড. মহাবুব আলমের থাকলেও তিনি ওইদিন হাজিরা খাতায় যথারীতি স্বাক্ষর করে ফাষ্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। যা পরেরদিন অর্থাত গত ১৬ জুলাই প্রকাশিত স্থানীয় সকল পত্রিকায় নামসহ সচিত্র সংবাদ থেকে পাওয়া যায়। এ বিষয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কয়েকমাস হলো দায়িত্ব পেয়েছি।