আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

 

কাজি বর মেয়ের খালু ও মেয়ের মাকে মুচলেকা দিয়ে মুক্ত

আলমডাঙ্গা ব্যরো: আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে কাকলী খাতুন গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। বিয়ের আসর থেকে পুলিশ কাজিসহ বর-কনে, কনের মা ও খালুকে আটক করেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের কায়েস আলীর মেয়ে এরসাদপুর একাডেমীর ছাত্রী কাকলী খাতুনের সাথে শ্রীরামপুর গ্রামের শেখ সফিউদ্দিনের ছেলে শেখ শামীমের সাথে বিয়ে ঠিক করে মেয়ের খালু গোবিন্দপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে রাজ্জাক। বিয়ে পড়ানোর জন্য ডাকা হয় গোবিন্দপুর গ্রামের কাজি গ্রামেরই শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুস সালাম। মেয়ের মা পলি খাতুন কৌশলে আলমডাঙ্গা পৌরসভা থেকে গতকালই জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। পৌরসভার স্বাস্থ্য সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়রের সাক্ষরিত ওই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিয়ের সমস্ত কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিয়ে পড়ানোর কাজ শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই জুয়েল, এসআই আনিচ, পিয়ার আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজি, বর, মেয়ের খালু ও মেয়ের মা পলি খাতুনকে থানায় নেয়। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রী কাকলী খাতুন। রাতে কাজি, মেয়ের মা, মেয়ের খালু ও বর শেখ শামীমকে মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হয়।