আলমডাঙ্গায় হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত

১৩ হাজার ৬ টাকা জরিমানা আদায়

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আলমডাঙ্গায় হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আনন্দধাম ব্রিজ দখল করে অটোর স্ট্যান্ড বসানো, নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং ডাক্তার না হওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থাপত্র লেখার অপরাধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ইসলাম গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধামের অত্যন্ত ব্যস্ততম ব্রিজ দখল করে অটোস্ট্যান্ড বসিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী কয়েক মধ্যস্বত্বভোগী। ফলে পথচারী ও যান চলাচলে সড়ক দুর্ঘটনা এবং নানা বিড়ম্বনার সমূহ আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকাবাসীর দাবির মুখে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনন্দধামের ব্রিজে এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ব্রিজ দখলকারী অটোচালকের বেশিরভাগ পালিয়ে যায়। তবে বণ্ডবিল গ্রামের অটোচালক দেবেন্দ্রনাথকে ধরে ২শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরির অভিযোগে আলমডাঙ্গা শহরের জগদীশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৩শ’ টাকা, অধিকারী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৬ হাজার, মজুমদার মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ২শ টাকা, কাছারি বাজারের আমজাদ হোটেলকে ২শ টাকা, ডিলিং লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা করা ও ডাক্তার না হওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থাপত্র লেখার অভিযোগে নিরাময় ঔষধালয়ের মালিক মোশারফকে ৪ হাজার, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে নাহিদ মেডিকেল হলের মালিক শামসুল হককে ৭শ টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে, উপজেলার হাড়গাড়ি গ্রামে প্রতিবেশীকে উত্ত্যক্ত ও অসুবিধার সৃষ্টি করে পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম চালানোর অভিযোগে পরিবেশ আইনে খেদ আলির ছেলে আলী হোসেনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি সার্জন আব্দুল্লাহ হিল কাফি ও এএসআই আমির হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।