আলমডাঙ্গায় স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ নিয়ে দু পক্ষের উত্তেজনা

 

শহরে প্রকাশ্যে সশস্ত্র : মহড়া পুলিশ নির্বিকার

স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে গতকাল উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে এক পক্ষ শহরে সশস্ত্র মহড়া দেয়। থানা পুলিশের সামনে এ মহড়ার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নীরব থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার অর্থায়নে আলমডাঙ্গা শহরের কণা নার্সিং হোম সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ। ওই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক স্বপন। ওই নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাফসির আহমেদ লাল চেয়ারম্যান। গত রোববার তিনি বর্তমান ছাত্রলীগের উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ নেতাদেরকে সাথে নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণস্থলে যান। নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গতকাল দুপুরে ঠিকাদার স্বপনের সঙ্গী রহমত আলীকে মরাধর করেন লাল চেয়ারম্যান পক্ষের কয়েকজন। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ঠিকাদার স্বপন ও তার লোকজন। এরই জের ধরে গতকাল বিকেলে হারদী-যাদবপুর এলাকার স্বপন পক্ষের বেশকিছু যুবক সশস্ত্র অবস্থায় মোটরসাইকেল নিয়ে আলমডাঙ্গা শহরে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। তদের হাতে রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রড ও জিআই পাইপ ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তারা চেয়ারম্যান লাল ও তার লোকজনকে খুঁজতে থাকে। পুরো শহরজুড়ে তখন আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। দীর্ঘ সময় ধরে এ মহড়া চললেও পুলিশের কোনো ভূমিকা ছিলো না বলে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তবে সশস্ত্র মহড়া শেষে হলে পুলিশ শহরে টহল দিয়ে কৌতুকের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে স্বপন ও লাল চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তারা কেউই মোবাইলকল রিসিভ করেননি।