আলমডাঙ্গায় যুবদল নেতা বল্টুর স্মরণসভা ও শোক র‌্যালিতে জনতার ঢল : শামসুজ্জামান দুদু বললেন

গণঅভ্যূত্থানে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার কায়েম করার প্রত্যয়

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: গতকাল শনিবার আলমডাঙ্গায় যুবদল নেতা আব্দুল হাই বল্টুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলমডাঙ্গা পৌর ও উপজেলা যুবদল স্মরণসভা, শোক ৱ্যালি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু। স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার কায়েম করা হবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ প্রেমিক জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। যতো চেষ্টাই এ জনবিছিন্ন সরকার করুক না কেন একদলীয় নির্বাচনের ষড়যন্ত্র এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আব্দুল হাই বল্টুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, এক বছর অতিবাহিত হয়েছে, অথচ এ ঘৃণিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। বিএনপির একটা কর্মীও বেঁচে থাকতে বল্টুর রক্ত বৃথা যাবে না। হত্যাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ইমদাদুল হক ডাবুর সভাপতিত্বে ওই জনাকীর্ণ স্মরণসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল, দপ্তর সম্পাদক আ.স.ম আব্দুর রউফ, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত শাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির মনিরুজ্জামান, উপজেলা জামায়াতের আমির নূর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, ফজলুল হক মোল্লা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা বিএনপির সভাপতি শামিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, পৌর সভাপতি সহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক।

আনোয়ার হোসেনের উপস্থপনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আশিরুল হক সেলিম চেয়ারম্যান, হাসানুজ্জামান হাসান চেয়ারম্যান, রেজাউর রহমান রেজু চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা দারুস সালাম চেয়ারম্যান, ডাক্তার আলাউদ্দিন বিল্লাল হোসেন, আব্দুস সোবহান, মহিনুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলী হোসেন, আব্দুল লতিফ, আব্দুল লতিফ তোতা, আব্দুল ওহাব, আব্দুর রশিদ, ওহিদ মেম্বার, জমির উদ্দিন, আব্দুর হান্নান, বোরহান, আক্তারুজ্জামান, লিয়াকত আলী, চমক, জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা যুবদল নেতা মিল্টন মল্লিক, আনোয়ার হোসেন জালাল, মাগরিবুর রহমান, ওহিদুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, আশরাফুল হক, ফারুক হোসেন, মঞ্জু, হাসিবুল, মুকুল, গোলাম বিশ্বাস, জসিম উদ্দিন, খাজা, মামুনুর রশীদ, চান্দু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাকীবিল্লাহ, এমদাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা শরিফুজ্জামান সিজার, এমএ তালহা, সুজন মালিক, জেডএম তৌফিক, লিমন, শওকত, উসমান, রানা, বাপ্পি, কিতাব মল্লিক, সাদ্দাম, সজিব, উজ্জল, মুন্নি, সাগর, রুবেল, সুইট, আকাশ, জনি, সুজন প্রমুখ।

স্মরণসভার পূর্বে শহরে এক বিশাল শোক ৱ্যালি বের করা হয়। শামসুজ্জামান দুদু ও সহিদুল কাউনাইন টিলুর নেতৃত্বে শোক মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে পৌরসভার সামনের মাঠে স্মরণসভা করে। সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়।