আলমডাঙ্গায় ভাগ্নীর শ্বশুরবাড়িতে জাপা মহাসচিবের যোগদান : কর্মী সমাবেশ বললেন

হুইপের সাথে হৃদয়ের ও চিন্তাধারার মিল রয়েছে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: যেহেতু আলমডাঙ্গায় আমার আত্মীয় আছে। এখানে আমাকে বার বার আসতে হবে। সুতরাং এই মানুষের সাথে, এই মাটির সাথে আমাকে মিশে যেতে হলো। এ মাটি-মানুষের যদি কোনো উপকার করতে পারি, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।  এ এলাকার উন্নয়নে আমি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবো। আলমডাঙ্গা শহরের মানুষ যাতে আধুনিক জীবন-যাপন করতে পারে সেদিকে নজর রাখবো। এ শহর উন্নয়নের জন্য একটা মাস্টারপ্লান থাকা উচিত। হুইপের সাথে আমার হৃদয়ের, চিন্তাধারার মিল আছে। মত ও পথের পার্থক্য থাকলেও দেশের কল্যাণের জন্য আমরা এক সাথে কাজ করবো।

গতকাল শনিবার আলমডাঙ্গা উপজেলা জাতীয়পার্টি আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। এ সময় তিনি আরও বলেন, হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জ্বালাও-পোড়াও নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করে, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাস করে। তার শাসনামলে থানাকে উপজেলা শহরে ও মহাকুমাকে জেলা শহরে উন্নীত করা হয়। রাস্তা, ব্রিজসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নির্বাচন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি স্থিতিশীল সরকার ছাড়া দেশে শান্তি আসতে পারে না। সকল দলের সাথে আলোচনা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ দেশকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। এ দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।

গতকাল বেলা ১২টার দিকে উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি জাহিদ হোসেন রেন্টুর সভাপতিত্বে ভাষাসৈনিক মরহুম শহীদুল্লাহ ওল্টু মাস্টারের বাগানবাড়িতে অনুষ্ঠিত কর্মীসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ব্যক্তিগত ডাক্তার শফিউল্লাহ ঠানু, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রফিউর রহমান, জেলা সহসভাপতি শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস খোকন, জেলা জাতীয় সৈনিকপার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম। আলমডাঙ্গা উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আব্দুর রশিদের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, দর্শনা পৌর জাতীয়পার্টির সভাপতি নূরুজ্জামান, গাংনী উপজেলা সভাপতি এসএম বাকী, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দীন, জাতীয়পার্টির নেতা আতিয়ার রহমান, আসাদুজ্জামান চাঁদ, মতিয়ার রহমান, রাহাজ উদ্দীন, ছাত্রসমাজ নেতা বিপ্লব হোসেন, সাদিকুর রহমান, সজিবুল হক প্রমুখ। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাতীয়পার্টি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজির উদ্দীন মল্লিকের নাম ঘোষণা করেন।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে মহাসচিবকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় প্রথমে আলমডাঙ্গা পৌরমেয়র মীর মহিউদ্দীন মহাসচিবকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। উভয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে শহরের সোনাপট্টিতে অবস্থিত ভাগ্নিজামাই বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৌভাতে যোগ দেন। শেষে বেলা সাড়ে ৩টার পর মহাসচিব নববিবাহিত বর-কনেকে সাথে নিয়ে পুনরায়  হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।