আলমডাঙ্গায় পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় সহযোগিতার অভিযোগ

 

বিশেষ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় পুলিশের বিরুদ্ধে মাদকব্যবসায় সহযোগিতার অভিযোগ উঠছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আনাচে-কানাচে এখন মাদকের ছড়াছড়ি। প্রায় নির্বিঘ্নে জমজমাট মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদকব্যবসায়ীরা। অবস্থা এমন যে, হাত বাড়ালেই মাদক। মুন্সিগঞ্জের পুটিমারী গ্রামের মাদকসম্রাট শামীম এখন নিজ এলাকা ছেড়ে আলমডাঙ্গায় ডেরা গেড়েছে বলে জানা গেছে। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুর মাগুরাপাড়ায় অবস্থান করে সে জমজমাট মাদকব্যবসা চালাচ্ছে। আলমডাঙ্গা এলাকার সে সবচে বড় পাইকারি মাদকবিক্রেতা। বর্তমানে সে নিজ এলাকার চেয়ে আলমডাঙ্গা শহরকেই মাদকব্যবসার জন্য বেশি নিরাপদ ভেবে নিয়েছে। শামীম জানিয়েছে, থানার ওসি পরিবর্তন হলেই খরচ বাড়ে। এবার দ্বিগুণ হয়েছে। থানার এক প্রভাবশালী পুলিশের চাহিদা প্রায় ওসির সমান বলে শামীমের সহজ স্বীকারোক্তি।

আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী লাল্টু। লাল্টু পূর্বে ফেনসিডিল ও হেরোইন বিক্রি করলেও বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রিরও অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় সে ইয়াবা, হেরোইন ও ফেনসিডিলের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে চিহ্নিত এ মাদকব্যবসায়ীকে থানায় ডেকে নিয়ে তাকে দিয়ে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার অপচেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার আলাউদ্দীন, তার স্ত্রী মিনির মেয়ে আলোর বিরুদ্ধে জমজমাট মাদকব্যবসার অভিযোগ বহু পুরাতন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে তাদের গ্রেফতার করলেও থেমে নেই ব্যবসা।

সম্প্রতি ৱ্যাব আলাউদ্দীনকে ৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। পুলিশ, ৱ্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গোয়েন্দা পুলিশ ও সাংবাদিককে ম্যানেজ করেই চলছে তার বেপরোয়া মাদকব্যবসা। একই এলাকার সপু নামের অকাল বৃদ্ধ এক যুবকও সকল দপ্তর ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে মাদকব্যবসা। সপু বর্তমানে জেলে। কালিদাসপুরের চিহ্নিত আরেক মাদকব্যবসায়ী লাল্টু। ওই অঞ্চলের সবচে’ প্রভাবশালী মাদকব্যবসায়ী সে। হেরোইন, ফেনসিডিল, প্যাথেডিন এমনকি ইয়াবা বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে তার নামে। পুলিশের সাথে তার দহরম মহরমের কথা আলমডাঙ্গাতে বেশ আলোচিত। এছাড়া ক্যানেলে জাহিদ চোরসহ বেশ কয়েকজন রমরমা মাদকব্যবসা করে চলেছে। জাহিদ চোর ৩শ টাকা করে মজুরি দিয়ে জন কিনে বেশ কয়েকজনকে দিয়ে মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গত কয়েকদিন পূর্বে ইবি থানার ফকিরাবাদের ৩ যুবক আলমডাঙ্গা শহর থেকে মাদকদ্রব্য পান করে সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশের তালগাছের সাথে ধাক্কা মারে। ৩ যুবকের মধ্যে ২ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। পুলিশ সুপার মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার বার বার নির্দেশ দিলেও আলমডাঙ্গায় তার প্রভাব দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।