আলমডাঙ্গায় আ. লীগের মিছিল থেকে বিএনপির অফিস ও মধুর দোকান ভাঙচুর : দুঃখ প্রকাশ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় বিএনপি অফিস ও মধুর দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। আলমডাঙ্গার হাজার হাজার কোটি টাকার অর্পিত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চক্রান্তকারী ভারতীয় দু নাগরিকের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিলের সময় ওই ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে কতিপয় যুবক ইট ছুঁড়ে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিএনপি অফিসের শাটার ভেঙে ফেলে। চেয়ার ভাঙচুর করে। এরপর আলমডাঙ্গা হাইরোডে অবস্থিত মিজানুর রহমান মধুর আঈন স্পোর্টস অ্যান্ড মোবাইল টাচ দোকানের শোকেচের গ্লাস ভেঙে চুরমার করে।

একটা ভালো কাজ করতে গিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় শহর জুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান মধুর লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আলমডাঙ্গা হাইরোডে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আঈন স্পোটর্স অ্যান্ড মোবাইল টাচ আওয়ামীলীগের মিছিল চলাকালে মিছিল থেকে ইট পাটকেল মেরে ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিকরা হয়। কোন অপরাধে ভাঙচুর চালানো হলো?আমার প্রশ্ন- সভ্য, শিক্ষিত ও সুশীল সমাজ কি এ রকম বর্বরতা, নিকৃষ্ট ঘৃণ্য অপকর্মের চিরদিন বাহবা দিয়ে যাবে?পুলিশের বা প্রশাসনের নির্লিপ্ততা কেন?আমার প্রশ্ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ কেন এরকম ঘৃণিত অপকর্মের উৎসাহ দেয়?আমার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত বছর রমজান মাসের ২৬ তারিখে হামলা চালানো হয় এবং আমার ওপরসহ আমার ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছিলো। এ বছর ১৬ রমজান আবার আঈন স্পোর্টসে ভাঙচুর হলো। তিনি এ ব্যাপারে হুইপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এদিকেএ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সভাপতি হাসান কাদির গনু ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবার রহমান মধুর নিকট মোবাইলফোনে দুঃখ প্রকাশ করেন। এসময় তারা ওই ভাঙচুরের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত, অরাজনৈতিক ও বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।