আলমডাঙ্গার ১৮৯ জন শিক্ষকের বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ১৮৯ জন শিক্ষক ১২ মাসের বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা উপায় না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের সাথে দেখা করে প্রতিকার দাবি করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪৮টি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়। এ সকল বিদ্যালয়ে ৩৩ জন প্রধান শিক্ষক ও ১৫৬ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এসব শিক্ষক ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা পেলেও মার্চ মাসের মহার্ঘ্য ভাতা পাননি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। কর্মরত সকল শিক্ষকের বেতন-ভাতা প্রদানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকলেও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে তা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পরিবারপরিজন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ওই সকল শিক্ষক।

ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ, রহমত উল্লাহ, আনিছুজ্জামানসহ কয়েকজন শিক্ষক গতকাল বেলা ১২টার দিকে বেতন-ভাতা’র প্রতিকার দাবি করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিনের কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষকদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি জানার পরপরই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পাবার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাদের বলা সত্বেও তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না।তিনি আরো বলেন, ১ হাজার ৫০০ টাকার মহার্ঘ্য ভাতা’র বিল শিগগিরই পাঠিয়ে দেয়া হবে।