আলমডাঙ্গার যাদবপুর ও কুমারী গ্রামে টান টান উত্তেজনা : সংঘর্ষের আশঙ্কা

 

স্টাফ রিরোর্টার: গতকাল শনিবার কুমারী গ্রামের লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কুমারী ইউনিয়ন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চড়াও হয়ে যাদবপুর গ্রামের অনিক নামের এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর করতে গেলে দু গ্রামের বিরোধ আবারও দানা বেঁধে উঠেছে। গত পরশু সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা উপজেলায় যাদবপুর ও কুমারী গ্রামের মারামারি, মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানিতে এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কিত।

জানা গেছে, দু সপ্তা আগে যাদবপুর গ্রামের কওছরকে কুমারীর লোকজন মারধর করে। এরই জের ধরে দু গ্রামের মধ্যে চলতে থাকে উত্তেজনা। গত পরশু সন্ধ্যায় কুমারী গ্রামের লোকজন ৭/৮টি মোটরসাইকেলযোগে সশস্ত্র অবস্থায় কওছের ও যাদবপুরের লোকজনকে মারধর করার জন্য হারদী বাজারে উপস্থিত হয়। হারদী বাজারের লোকজন মারামারি থামাতে গেলে হারদীর স্থানীয় লোকজনের ওপর তারা চড়াও হয়। অবস্থা বুঝে যাদবপুর গ্রামের কওছর, তপন ও তামিমসহ গ্রামের লোকজন হারদীবাজার ত্যাগ করে। এ সময় যাদবপুরের লোকজন যাদবপুর গ্রামের রাস্তায় অবস্থান নেয়। রাতে কুমারী গ্রামের রিপন নামের এক যুবককে যাদবপুরের লোকজন রাস্তার ওপর মোটরসাইকেলসহ ধরে ফেলে। এ সময় রিপনের গাড়ির হেডলাইট ভাঙচুর ও  তাকে মারধর করা হয়। রিপন সুযোগ বুঝে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গতকাল পুনরায় কুমারী গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাদবপুর গ্রামের জেএসসি পরীক্ষার্থী অনিককে মারধর করতে কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চড়াও হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ও ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সারাদিন পুলিশ টহল দিলেও দু গ্রুপের মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি লেশমাত্র কমেনি। যেকোনো সময় দু গ্রামের মধ্যকার বিরোধ ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দু গ্রামের মানুষ। আজ দু গ্রামের কতিপয় ব্যক্তির মধ্যস্থতায় সালিস বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।