আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পশুহাট জমজমাট করা নিয়ে উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: জমতে শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী মুন্সিগঞ্জ পশুহাট। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়। দুপুরে পুলিশের উপস্থিতির পর পরিস্থিতি কিছুটা থমকে যায়। আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে জোরপূর্বক গরু নামিয়ে নেয়া হচ্ছে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে। এদিকে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের পক্ষে বলা হয়েছে কাউকে জোর করে হাটে নেয়া হয়নি। স্বেচ্ছায় বেপারি ও সাধারণ মানুষ কেনাবেচা করেছেন। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা হাইওয়ে রাস্তা থেকে গরু বেপারি ও গরু নামিয়ে নেয়ায় নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার মুন্সিগঞ্জ পশুহাট জমজমাট করা জন্য স্থানীয় জনতা ও হাট মালিকসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মুন্সিগঞ্জ বাজারে জড়ো হন। সকাল থেকে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসতে থাকে গরু, ছাগল ও মোষসহ বেপারিরা। জমে উঠতে থাকে পশুহাট। গরু ও গরু বেপারিদের উপস্থিতি দেখে অনেকেই মন্তব্য করতে থাকেন এইবার মনে হয় পশুহাটটি প্রাণ ফিরে পাবে। বিপত্তি ঘটে দুপুর ১২ টার দিকে। আলমডাঙ্গা পৗর পশুহাটে যাওয়ার সময় সড়কের ওপর থেকে গরু গাড়ি ও বেপারিদের নামিয়ে নেয়ার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত হয়। বাধে হট্টগোল। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, সেকেন্ড অফিসার এসআই জিয়াউল হক, এসআই পিয়ার আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে এ সময় ওসি আকরাম হোসেন জননেতাদের ওপর চড়াও হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আলমডাঙ্গা পৗর পশুহাটের ইজারাদার হাসানুজ্জামান হান্নান অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কেক গরুর গাড়ি থেকে গরু ও বেপারিদের জোরপূর্বক নামিয়ে হাটে গরু ক্রয় ও বিক্রয় করতে বাধ্য করেছে। এমন কি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স থেকে গরু বেপারিদের জোরপূর্বক নামিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের ইজারাদার স্বপন বলেন, সড়ক থেকে কোনো গরু ও গরু বেপারিক জোরপূর্বক নামিয়ে নেয়া হয়নি। বাজারটি জমজমাট করতে তারা নিজ ইচ্ছায় গরু নিয়ে এসেছে। আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাটের ইজারাদার পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে পরিস্থিতি ঘোলাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।