আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে যুবলীগ নেতা পল্টুকে পিটিয়ে জখম : দু’পক্ষের উত্তেজনা

স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় মুন্সিগঞ্জ পশুহাট চত্বরের একটি চা’র দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় অপর পক্ষের ৩জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন পল্টু গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটস্থ খুদিয়াখালী আবাসনের ইয়াবুকের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আবাসনের আলী হোসেনের ছেলে কারন ও বিপুল, ইকরামুলের ছেলে সুজন ও রনি শাবল ও লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় পল্টুর ওপর। পল্টুকে রক্তাক্ত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন পল্টুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার স্বজনরা জানায়, পল্টুর অবস্থা গুরুতর। যুবলীগ নেতা পল্টুকে মারধরের ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। অপর পক্ষ অভিযোগ করে বলেছে, আওয়ামী লীগের লোকজন জনি রহমানের স্ত্রী জামেলা খাতুন, একরামুলের স্ত্রী সায়েদা খাতুন ও তার ছেলে রনিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আহত করে। তাদেরও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই আলমগীর হোসেন, টুআইসি এএসআই জামাল উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে কৃষ্ণপুর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম জানান ‘হামলাকারীরা সবাই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী। বাংলাদেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়শীল দেশে পরিণত হয়েছে। তখন যুবলীগ নেতাদের দমাতে বিএনপি ও জামায়াতকে দিয়ে যুবলীগ নেতা পল্টুকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।’ তিনি দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।