আলমডাঙ্গার ফিরোজের ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বকসিপুরের এক সন্তানের জনক ফিরোজের ঢাকা মিরপুর ভাড়াবাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ফিরোজকে হত্যা করা হয়েছে, গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাকি মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে। জনমতে নানা প্রশ্ন? ফিরোজের পরিবারের লোকজনের ইঙ্গিত ছোট স্ত্রী শাপলার পরিবারের দিকে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে এসে দাফন সম্পন্ন কা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার বকসিপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ঘরে স্ত্রী থাকার পরও একই গ্রামের ইউনুচ আলীর মেয়ে শাপলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রায় ৩ মাস আগে ফিরোজের প্রথম স্ত্রী বন্যার কোল জুড়ে জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। সন্তানের জন্মের ১০-১৫ দিন পরই ফিরোজ ও শাপলা নতুন করে ঘর বাধার আশা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকা চলে যান। ঢাকাতে গিয়ে ফিরোজ ও শাপলা  মিরপুর ১২ নং এলাকায় ৪ নং বাড়িতে ভাড়া থেকে মোজাইক মিস্ত্রির কাজ করতেন। গত শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে ফিরোজের বাড়িতে সংবাদ আসে তিনি গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সংবাদ পেয়ে ফিরোজের পরিবারের লোকজন মেম্বারসহ ঢাকাতে লাশ আনতে যান। সেখানে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের কাছে হস্তান্তর করে। শনিবার ফিরোজের লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে দাফন করা হয়। শনিবার রাতে ফিরোজের দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর এলাকাবাসী শাপলা ও তার পরিবারের ওপর চড়াও হয়। পরে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন সংবাদ পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এদিকে ফিরোজের পিতা জহুরুল ইসলাম দাবি করেছেন, তার ছেলে ফিরোজকে আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকাতে ফিরোজের লাম আনতে গেলে আমাদেরকে ওই ঘরে যেতে দেয়নি। ভাড়া বাসার প্রতিবেশীরা রাতে ফিরোজ ও শাপলার মধ্যে কথাকাটাকাটি শুনতে পায়। রাতে যখন শাপলা চিৎকার করে বলে ফিরোজ ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ফিরোজের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।