আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুর ভাটুই নদীতে মানুষের গলিত লাশ

 

পাটজাগের জন্য কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গিয়ে কৃষকের হাতে বাধে চুল!

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো/সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার পল্লি পারলক্ষ্মীপুরে ভাটুই নদীতে একজন মানুষের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। নারী না পুরুষ? তা যেমন জানা যায়নি, তেমনই মেলেনি তার পরিচয়। তবে পরনে লুঙ্গি রয়েছে বলে স্থানীয়দের কেউ কেউ ধারণা করেছেন।

গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশি প্রহরায় মৃতদেহটি ভাটুই নদীর তীরেই রাখা ছিলো। ডোম না থাকায় লাশ উদ্ধার অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে রাতে বাঁশ বেঁধে লাশ সেখানেই রাখা হয়। আজ শুক্রবার উদ্ধার করা হবে। নেয়া হবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নের পারলক্ষ্মীপুর গ্রাম সংলগ্ন ভাটুই নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক পাট জাগ দেয়ার জন্য যান। পাটজাগের জন্য স্থান নির্ধারণ করে তিনি কচুরিপানাসহ ভাসমান দাম-ধাপ সরাচ্ছিলেন। এ সময় দাম-ধাপের সাথে মাথার চুল উঠে আসতে দেখে তিনি চমকে ওঠেন। দাম-ধাপ সরাতেই দেখেন মানুষের গলিত পা। তিনি স্থানীয়দের খবর দেন। খবর দেয়া হয় তিয়রবিলা ফাঁড়ি পুলিশে। আলমডাঙ্গা থানায়ও পৌঁছে এ খবর। তখন সন্ধ্যা। পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। রাতে গলিত লাশ উদ্ধারের জন্য ডোম না পেয়ে পুলিশ পড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে। এরপরও ভাটুই নদি থেকে পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে থাকেন। রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার স্থগিত ঘোষণা করে তিয়রবিলা ফাঁড়ি পুলিশকে প্রহরায় রাখা হয়। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশি প্রহরায় লাশ সেখানেই ছিলো। তবে বাঁশ বেঁধে লাশ নদীর তীরে আটকে রাখা হয়েছে। ফলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের ব্রিজের পূর্ব দিকে রেজাউলের বাড়ির অদূরে ধাপের নিচে কীভাবে লাশ এলো তা বোঝা কঠিন। নদীতে বর্তমানে বেশ স্রোত। ভেসেও আসতে পারে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। লাশ উদ্ধারের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃতদেহটি নারী না পুরুষের। বয়সই বা কতো? পরনে লুঙ্গি ও শেওলা রঙের শার্ট রয়েছে বলে লাইট মেরে দেখে কেউ কেউ জানালেও এ বর্ণনা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, যেহেতু লাশ অর্ধগলিত, তাছাড়া পানির মধ্যে ছিলো সেহেতু বিস্তারিত জানতে লাশ উদ্ধার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।