আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৮ শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় উত্তেজনা : শিক্ষকের শাস্তির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ম শ্রেণির ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল ২ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে ও শাস্তির দাবি তোলে। স্কুল চলাকালীন ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসরুম ঝাঁড়ু দিয়ে পরিষ্কার করার সময় রনি মাস্টার এসে থেকে ফিরে যান। তিনি স্কুলের গোলজার হোসেন বকুল ও খাজা উদ্দিনকে ঘটনাটি জানালে তারা অকস্মিক ক্লাসরুমে এসে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন। ঘটনাটি নিয়ে অভিভাবক মহলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যেকোনো সময় বড় সংঘর্ষের আসঙ্কা করছে সচেতন মহল।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলজার হোসেন বকুল ও খাজা উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্কুলের ৯ম শ্রেণির ৫৮ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ অক্টোবর স্কুল চলাকালীন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষক রনি ৯ম শ্রেণির কক্ষে ঢোকেন। এ সময় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্লাস রুম ঝাঁড়ু দিচ্ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম ঝাঁড়ু দেয়া শেষ হলে ক্লাস করবে বলে জানালে তিনি ফিরে যান। শিক্ষক রনি অফিস রুমে এসে স্কুলের সহকারী শিক্ষক গোলজার হোসেন বকুল ও খাজা উদ্দিনকে জানান। বেত হাতে ক্লাসরুমে গিয়ে কোনো কিছু না বুঝে ওঠার আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের বেদম পেটাতে থাকেন তারা। পেটাতে গিয়ে হাপিয়ে গেলে শিক্ষক খাজা উদ্দিন ক্লাসরুমে থাকা ঝাঁড়ুর মুটি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটাতে থাকেন। শ্রেণিকক্ষে হট্টগোল ও কান্নার শব্দে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে। ১০-১২ জন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ নাগদাহ গ্রামবাসী ও অভিভাবক মহল স্কুলে উপস্থিত হয়। শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে ও বিচারের দাবি জানাতে থাকে তারা। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসককে জানালে দায়িত্ব প্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগ শোনেন ও ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বলে গ্রামসূত্র জানায়।
গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে জানার জন্যে নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ শীলকে কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তার মোবইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির সভার মাধ্যমে ঘটনার নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে গ্রামের অনির্বাণ সংঘের সদস্যসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গোলজার হোসেন বকুল ও খাজা উদ্দিন মাস্টার স্কুলের শিক্ষার্থীদের শাসন করার অধিকার রাখেন তাই বলে মেয়েদের পিটিয়ে আহত করবে কোনো কারণ ছাড়া এটা খুবই অমানবিক। এলাকায় ২ শিক্ষকের ওপর ফুঁসছে এলাকাবাসী ও অভিবাবক মহল। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।