আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামের হাফিজুরের সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত কাজল রেখার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামের হাফিজুরের সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্ত কাজল রেখা। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি খোরপোষ না দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির বিচারের দাবিতে এ সম্মেলন করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে কাজল রেখা উল্লেখ করেছেন, ২০০৭ সালে কাজল রেখার ডামোশ গ্রামের আকবর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান লাবুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে কাজল রেখার ওপর যোতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। প্রায় ৪ বছর তার সাথে সংসার করাকালে প্রতিরাতেই নেশা করে তাকে মারধর করতো। এক রাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কাজল রেখাকে পুলিশ উদ্ধার করে বাপের বাড়ি পাঠায়। ওই সময় তার বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন কাজল রেখা। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিলে এক পর্যায়ে সে স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের পর কাজল রেখা খোরপোষের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত স্বামীকে কাজল রেখার খোরপোষ বাবদ ৩ লাখ টাকা দিতে আদেশ দেন। আদালতের দাবি অমান্য করে নির্দেশিত টাকা না দিয়ে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। গত ২৪ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে একা পেয়ে তার পিতা ও বড় ভাই কাজল রেখাকে মারধর করেছে। মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দিয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর বণ্ডবিল গ্রামে তাকে হত্যার জন্য ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ওই ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় তিনি এজাহার করেন। এখন মামলা থেকে বাঁচতে তারা কাজল রেখার নামে নানা অপবাদ দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করিয়েছে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য শিহাবকে জড়িয়ে আমার নামে বিয়ের মিথ্যা অপবাদ দেয়। যা মিথ্যা। লাবুর পরিবারকে জঘন্য দাবি করে তার ভাই-বোনদের অপকর্মের নানা তথ্য উল্লেখ করেছেন। কাজল রেখা লাবুকে পলাতক আসামি দাবি করে তার হাত থেকে রক্ষা পেতে ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, গতপরশু বৃহস্পতিবার ডামোশের হাফিজুর রহমান কাজল রেখার বিরুদ্ধে ৪ নং স্বামীর সংসার করে সাবেক ২ নং স্বামী ও তার বাপ-ভাইয়ের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক খোরপোষের মামলাসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে।