আলমডাঙ্গার চিৎলা কুলচারা ভিটাপাড়ায় সপ্তা না পেরুতেই আবারো ডাকাতির প্রস্তুতি

গৃহকর্তাদের উপস্থিত বুদ্ধিতে ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেলো গ্রামবাস

ভালাইপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের চিৎলা কুলচারা ভিটাপাড়া  হতদরিদ্র গৃহকর্তাদের উপস্থিত বুদ্ধির ফলে ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে গ্রামবাসী। প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সটকে পড়ে বলে জানা যায়।

এলাকাবাসী জানায়, গত এক সপ্তা আগে একই গ্রাম থেকে চান্দালী মণ্ডলের ছেলে সিদ্দিকের বাড়িতে ঢুকে সোনার এক জোড়া কানের দুল, একটি আংটি, এক জোড়া রুপার তোড়া, গরু ও ভুট্টা বিক্রি করা নগদ ১ লাখ টাকা ও নিয়ামত আলীর ছেলে রশিদুলের বাড়ি থেকে সোনার গয়না ও গরু বিক্রি করা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

গ্রামবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে ডাকাতির উদ্দেশে ১৪/১৫ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল গ্রামে হানা দেয়। গ্রামের জনগণের পুলিশের ওপর ভরসা না থাকাই গোপনে মোবাইলফোনে পার্শ্ববর্তী চিৎলা গ্রামের একাধিক লোককে জানান। চিৎলা গ্রামের জনগন ডাকাত ডাকাত চিৎকার দিয়ে কুলচারা ভিটাপাড়া  দিকে গেলে, ভিটাপাড়া জনগণও চিৎকার দিয়ে ডাকাত দলের পিছু নেই ডাকাতদল মাঠের দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতদলের হাতে বোমা, দা, ছুরি, কিরিচ, হাতকুড়ালসহ নানা ধরনের ধারালো অস্ত্র ছিলো বলে জানায় গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলে, আমাদের এ নতুন গ্রামটিতে হতদরিদ্রদের বসবাস, এ গ্রামের মানুষ জোন খেটে বা লোন তুলে গরু ছাগল পুষে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু বছরে ৩-৪ বার ডাকাতি হওয়ায় আমাদের গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।