আলমডাঙ্গার চিৎলায় আসামি আটকের সময় জনতার বাধা : পুলিশের লাঠিচার্জে পাঁচজন গুরুতর আহত

স্টাফ রিপোর্টার: আসামি আটকে বাধা দেয়ার সময় পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়েছেন আলমডাঙ্গা চিৎলার কৃষক মিনারুল ইসলাম। আহত মিনারুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় জনরোষের মুখে অভিযুক্ত রবজেলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। গ্রামের বেশ কিছু ব্যক্তির বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সালিসের সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের রেজাউলের ছেলে জিনারুল, মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে ইউসুফ ও মৃত খিলার ছেলে আজিবর বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার নাম করে ৩০ জনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেড়লাখ টাকা আদায় করেন। পরে ঘর ওয়ারিং করার জন্য আরো দেড় হাজার টাকা করে আরো ৪৫ হাজার টাকা নেন। প্রায় এক বছর আগে টাকা নিলেও তারা বিদ্যুত সংযোগ দিতে না পারায় গ্রামে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উপরন্তু আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করলে গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজিবরের দোকানে রবজেল উত্তেজিত হয়ে নয়নকে মারে। নয়ন থানায় জানায়। এরপর আলমডাঙ্গার হাপানিয়া ক্যাম্প পুলিশের এসআই তিলামসহ চারজন এসে রবজেলকে আটক করে। এ সময় গ্রামের লোকজন তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায় পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীর সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে রবজেলের ছেলে বাদশা, কালামের ছেলে ফারুক, বারেকের ছেলে ইখলাস, নুর হোসেনের ছেলে মিনারুল ও নুর ইসলামের ছেলে সাইদ আহত হয়। এরমধ্যে মিনারুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম জানান, মিনারুল গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।