আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ ত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ : প্রধান শিক্ষকের অফিসকক্ষে তালা

 

স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইংরাজি শিক্ষকের শূন্য পদে অবৈধভাবে বাণিজ্য শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ এখন ভিন্ন রূপ ধারন করেছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্কুল ক্যম্পাস ও ঘোলদাড়ী বাজার এলাকা। স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকার প্রাক্তাণ ছাত্ররা গতকাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীর পদ ত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা তালা লাগিয়ে দেন প্রধান শিক্ষকের অফিসকক্ষে। দাবি আদায় না হলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস বর্জনের হুমকি দিয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীর পদ ত্যাগের দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘোলদাড়ী বাজারে স্কুলের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধান শিক্ষকের অফিসকক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় এক দফা এক দাবি প্রধান শিক্ষক কবে যাবি, এক দফা এক দাবি সভাপতি কবে যাবি, অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ মানি মানবো না, অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন চোর দালালের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন স্লোগান দেয় থাকে মিছিলকারীরা।

অপর একটি সূত্র জানায়, স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গত ১৫ মাস আগে মারা যান। গত ৮ জুন ২০১৫ সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স পাস প্রার্থীগণ দরখাস্ত করলেও প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অধিক অর্থ না পাওয়ার কারণে নিয়োগ বন্ধ করে দেন। গত ৭ জুন ২০১৫ ২য় বারের মতো সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) শূন্য পদ না থাকলেও কৌশলে শূন্য পদ দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মহিলা অবশ্যক উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু কোনো প্রার্থী আবেদন না করলে, আবার নতুন করে ব্যবসায় শিক্ষা শূন্য পদে (মহিলা) আবশ্যক মর্মে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। ২৮ নভেম্বর আবেদনের শেষ তারিখ উল্লেখ করলেও ২২ নভেম্বর বাণিজ্য শিক্ষা শিক্ষক পদে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। স্কুলে প্রতিবাদের ঝড় তোলে সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। এ নিয়ে ক্লাস বর্জন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকে স্কুলের শিক্ষকসহ অভিবাবক সদস্যবৃন্দ। ৩ দফা দাবি তোলে স্কুলের নাগরিক সংগ্রাম কমিটি। প্রধান শিক্ষক স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় জিডিও করেন। অপরদিকে স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেন।