আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী এলাকার আলু চাষীদের মাথায় হাত: কনিকা সিড কম্পানীর ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধি অবরুদ্ধ

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা লোকনাথপুরের কনিকা সিড প্রাইভেট কম্পানি লিমিটেডের আলু বীজ চাষ করে আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী এলাকার প্রায় ১শ  আলু চাষি বিপাকে পড়েছেন। উক্ত কম্পানির জমিতে লাগানোর ফলে কয়েকদিনের মধ্যে আলু বীজ পচে যায়। কম্পানির ডিলার মুন্নু ট্রেডার্সের প্রপাইটর তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে ধন্না দিয়ে কোনো সুরাহা মেলেনি। গতকাল সকালে কম্পানির বিক্রিয় প্রতিনিধি আরাফাত এলাকায় আসলে বিক্ষুব্ধ চাষিরা ডিলারসহ তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয়দের মধ্যস্থায় তাদের ছেড়ে দিলেও দাবি উঠেছে ক্ষতি পূরণের।

জানা গেছে, এ মরসুমে আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী এলাকার আলু চাষিরা তাদের চাষের জমি আলু চাষের জন্য প্রস্তুর করে। গত ১ সপ্তাহ আগে পাইকপাড়া গ্রামের লুৎফর, আদিল, কামাল, গাট্টু, লিটন মাস্টার, মনোয়ার, রফিক, মানোয়ার, জহির ও এরশাদ। ঘোলদাড়ী বাজারের সাহাবুল, লিটন মেম্বার, শামসদ্দিনসহ প্রায় ১শ কৃষক ঘোলদাড়ী বাজারের মুন্নু ট্রেডার্স থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করে। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরে আসলেও আলু বীজে চারা না গজালে সন্দেহ দেখা দেয়। মাঠি খুড়ে দেখতে পাই আলু বিজের ৯০% আলু বীজ পচে গেছে। কনিকা সিডের ডিলার পাইকপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা না হলে গত পরশু সোমবার তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে চাষিরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কনিকা সিডের বিক্রয় প্রতিনিধি আরাফাত এলাকায় আসলে তাকেও আটকে রাখে বিক্ষুব্ধ চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা দাবি তোলে ক্ষতি পূরণের।

এব্যপারে জানাতে তোফাজ্জেল মাথাভাঙ্গাকে জানায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা লোকনাথপুর কনিকা সিড কম্পানি লিমিটেড থেকে প্রতি বছর আলু বীজ নিয়ে বিক্রয় করে আসছি। কোনো সমস্যা না হলেও এ বছর ৯শ বস্তা আলু বীজ প্রায় ১শ চাষির মাঝে বিক্রি করেছি। আলুর শিংহ ভাগ পচে গেছে। চাষিদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ২ দিন ধরে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। গতকাল কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিকে আটকে রাখে চাষিরা। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় আংশিক আপস হয়েছে।