আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির বাণিজ্যিক খামারে ফার্ম ইনচার্জ কামালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খামার ইনচার্জ কামাল মাসে এক দু দিন অফিসে নামমাত্র আসেন। খামারের হিসাবরক্ষক অলিখিতভাবে ইনর্চাজের দায়িত্ব পালন করছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ কর্মচারীরা। ওয়াচ ম্যান ও সাধারণ লেবাররা ১০ দিন পর পর বেতন পেলেও ১০ দিনের কর্ম দিবসের বেতন পান ৯ দিনের। সাধারণ লেবাররা ১০ দিনের কাজের বেতন পান মাত্র ৫ দিনের। বাকি টাকা ইনচার্জ ও হিসাবরক্ষকের পকেটে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়েমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খামারের ওয়াচ ম্যান বুদো, আনান্দ ও পাহারাদার বিল্লাল অভিযোগ করে জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে খামারের কাজ করে আসছি। প্রতিদিন দিনহাজিরা হিসেবে ১৬৫ টাকা করে পাওয়ার কথা। কিন্তু অলিখিত ইনচার্জ হিসাবরক্ষক সাইফুল ১০ দিনের হাজিরার জায়গায় ৯ দিনের হাজিরা দেন। গত বৃহস্পতিবার বেতন দেয়ার কথা থাকলেও গত শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বেতন নিতে ডাকেন হিসাবরক্ষক। ১০ দিনের বেতনের জায়গায় ৯ দিনের বেতনের প্রতিবাদ করতে গেলে তেড়ে মারতে আসেন ও চাকরি থেকে বাদ দেয়ারও হুমকি দেন। খামার ইনচার্জ মাসে ১ থেকে ২ দিন বেড়াতে আসেন। নিয়মিত বেতনও তোলেন তিনি। আমরা ইনচার্জকে না পেয়ে মেবাইলফোনে খামার ইনচার্জকে হিসাবরক্ষক সাইফুলের নামে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।

এ ব্যাপারে সাধারণ লেবার আসাদুল, মহাসিন, মতিয়ার, সুবান, সাদ্দাম, হায়দার, সহিদ, হানোয়ার, ইসরাইল, ফারুক, ইসরাই, ইয়াজুল অভিযোগ করে জানান, খামারের সারাদিন ১০ দিন কাজ করার পর ১৬৫ টাকা হারে বেতন দেয়ার কথা। কিন্তু হিসাবরক্ষক সাইফুল ১০ দিনের বেতনের জায়গায় ৫ দিনের বেতন দেন। বাকি ৫ দিনের বেতন নিজের পকেটে ভরেন। তারা আরো জানান, গত কয়েকদিন আগে খামারের বাঁশঝাড় থেকে মোট ১৭টি বাঁশ কাটেন হিসাবরক্ষক সাইফুল। মাত্র ৭টি বাঁশ খামারের বেড়া ঘেরার কাজে ব্যবহার হয়। বাকি বাঁশগুলো তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এছাড়া খামারের বেতনভুক্ত লেবারদের নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজও করিয়ে নেন তিনি। এছাড়া রাতের আঁধারে তেল ও সার চুরির ঘটনা এলাকার মানুষের গাসওয়া হয়ে গেছে। খামারের সেচের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাইপগুলো কোথায়? হিসাবরক্ষক সাইফুলকে জিজ্ঞাসা করলেই বেরিয়ে আসবে।