আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি এলাকায় হাত-পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা অপচেষ্টার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে মাইক্রোবাসে করে তুলে এনে আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামের নির্জন মাঠে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অপচেষ্টার শিকার জাফরের শারীরিক অবস্থান উন্নতি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জাফরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর ফুঁসছে এলাকাবাসী।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের রাইপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে যাত্রাদলের ব্যান্ডপার্টির সদস্য জাফরের (২৫) সাথে আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামের রইচউদ্দিনের মেয়ে আশুরার বিয়ে হয় বছর দশেক আগে। তাদের রয়েছে ৮ বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিউজ। জাফরের স্ত্রী আশুরা সুন্দরি হওয়ায় তার চরিত্র নিয়ে কথা ওঠে। গত এক মাস আগে আশুরা পরকীয়া প্রেমিকের কারণে স্বামী জাফরকে তালাক দেয়। স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য জাফর মাঝে মাঝে আসে শ্বশুরালয় গোয়ালবাড়ি গ্রামে। এরই জের ধরে আশুরার প্রেমিক ও তার লোকজন তাকে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে গেছে বলে গ্রামবাসীর ধারণা। জাফর অভিযোগ করে জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে একটি কালো মাইক্রোবাসযোগে তাকে চোখ বেঁধে অপহরণ করা হয়। তাকে নিয়ে আসা হয় গোয়ালবাড়ি গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর ঈদগা মাঠে। সেখানে তাকে হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত ভেবে রেখে যায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। বাঁচাও বাচাঁও চিৎকার করতে থাকলে, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। তার শারীরিক অবস্থা সংখ্যামুক্ত।

জাফর আরো জানান, আশুরার বোন পপির ভাসুর গোস্বামী দুর্গাপুরের আনারুলকে সে চিনতে পেরেছে। তবে গ্রামবাসী জানিয়েছে, আনারুলের ফুফাতো ভাই একই গ্রামের নজুকে আশুরাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে দেখা যায়। সেই এ ঘটনার নায়ক বলে অভিযোগ গোয়ালবাড়ি গ্রামবাসীর। গ্রামবাসী জাফরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ওপর ফুঁসে উঠেছে।