আলমডাঙ্গার খাসকররা এলাকায় পিতা-মাতার চোখের সামনে বেপরোয়া পাউয়ারটিলার পিষ্ট করে মারলো ৩ বছরের শিশুকন্যাকে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পিতা-মাতার চোখের সামনে বেপরোয়া পাউয়ারটিলার পিষ্ট করে মারলো ৩ বছরের শিশুকন্যাকে। মায়ের সাথে পিতার মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে আলমডাঙ্গার খাসকররা রায়সা ব্রিজের ঢালে দ্রুতগামী পাওয়ারটিলার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিশু মায়া মাটিতে পড়ে যায়। পাওয়ারটিলার তার শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেলে মারাত্মকভাবে জখম হয় সে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হরিণাকু-ু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শিশুকন্যার মৃত্যু ঘটে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ু উপজেলার ফলশী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শারমিন খাতুন ৩ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে সম্প্রতি পিতার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামে বেড়াতে যায়। গতকাল সকালে দেলোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলযোগে তার স্ত্রী ও শিশুকন্যা মায়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা খাসকররা-রায়সা গ্রামের জিকে ক্যানেলের উঁচু ব্রিজের থেকে নিচে নামলে দ্রুতগামী এক পাউয়ারটিলার তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ সকলে মাটিতে পড়ে যায়। পিতা-মাতার চোখের সামনে মাটিতে লুটিয়ে পড়া আদরের শিশুকন্যার শরীরের ওপর দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন পাওয়ারটিলার চলে যায়। এতে মারাত্মকভাবে জখম হয় শিশু মায়া। তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হরিণাকু-ু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মায়ার মৃত্যু ঘটে।
খাসকররা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও ঘাতক পাউয়ারটিলার উদ্ধার করেছে। পালিয়ে গেছে পাউয়ারটিলার চালক আলমডাঙ্গার নওলামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মুনিয়ার। নিহত শিশুকন্যার পিতা-মাতাও অসুস্থ। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনার সময় আঘাত লাগে। চোখের সামনে প্রাণপ্রিয় শিশুকন্যার নিহতের ঘটনায় তারা শোকে উন্মাদ প্রায়।