আলমডাঙ্গার খাসকররা এলাকায় চরমপন্থিদের লিফলেট

আতঙ্কগ্রস্ জনতা স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির অবকাঠামো নির্মাণের খরচ দিতেও রাজি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পল্লি খাসকররাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চরমপন্থি আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গতপরশু মঙ্গলবার ভুল বানানে লেখা হলুদ কাগজে ফটোকপি করে ছড়ানো লিফলেট পেয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তীব্রতর হয়ে উঠে। স্থানীয়রা খাসকররা বাজারের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটির স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে অবকাঠামো নির্মাণের খরচের জোগান দেয়ারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার সবচেয়ে ভীতিকর এলাকার নাম খাসকররা তিয়রবিলা। আশপাশে বিল বাওড়। পড়শি জেলা ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর সীমানা। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অপহরকচক্র এপারে অপরাধ করে ওপারে যায়, ওপারে অপরাধমূলক অপকর্ম করে এপারে এসে আশ্রয় নেয়। পূর্বে যখন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো দুর্গম, তখন এলাকাটি ছিলো সন্ত্রাসীদের অঘোষিত রাজ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে সেই অবস্থার পরিবর্তন হলেও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা থামেনি। তিয়রবিলায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন হলেও খাসকররা এলাকা অরক্ষিত থেকে যায়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নফিজ উদ্দীন পুলিশ ফাঁড়ির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। সেই জমিতে এখন আবাদ হয়। আর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে খাসকররা বাজারে অস্থায়ী ক্যাম্প করে পুলিশ রাখা হয়। স্থানীয়রা বলেছেন, রায়সা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী হানা, খুন অপহরণের পর দাবির প্রেক্ষিতে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করা হলেও তা স্থায়ীকরণ হয়নি। অস্থায়ী এ পুলিশ ক্যাম্পে একজন হাবিলদারসহ ৯ জনের একটি টিম দায়িত্ব পালন করে। তাদের খানাপিনার খরচ স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ আর জনপ্রতিনিধিদেরই বহন করতে হয়।

গতপরশু রাতে এলাকার চা দোকানসহ রাস্তায় লিফলেট ছড়িয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। দাদা বিজয় নামের নিচে নিয়োগ চলছে বলেও লেখা হয়েছে। পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি বলে পরিচয় দিয়ে লেখা লিফলেটে জনগণের সহযোগিতার কথা লেখা থাকলেও স্থানীয়দের আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা জমি দিয়েছি, দরকার হলে ঘর তৈরির ইট বালি সিমেন্টও দেবো। তবুও হোক পূর্ণাঙ্গ পুলিশ ফাঁড়ি। নিপাত যাক সন্ত্রাস।