আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দীনকে সাত দিনের আলটিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস দীর্ঘদিনেও দুটি পদের একটিকে বেছে নিতে পারেননি। এই না পারার কারণে শিক্ষা বিভাগ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাতদিনের সময় বেধে দিয়েছে। মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস প্রধান শিক্ষক হিসেবে থাকাকালীন আইলহাস ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে থাকাকালীন ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল নবগঠিত আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বলেশ্বরপুরের মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস নির্বাচিত হন। ওইবছরের ৪ জুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথগ্রহণ এবং পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।কিন্তু, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। সেইসাথে ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। গেজেট প্রকাশিত হলেও মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাকে নিয়মিতকরণ করা হয়নি। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস কোন পদটি রাখবেন তা ঠিক করতে না পারায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামসুজ্জোহা জানান, মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন বলে জানালেও অদ্যাবধি কোনো আবেদন করেননি।দীর্ঘদিনেও মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বিস্ময় প্রকাশ করেন।

এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাস মোবাইলফোন রিসিভ করেননি।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন সরকার জানান,মিনহাজ উদ্দীন বিশ্বাসকে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছেনা। পাশাপাশি দুটি পদের যেকোনো একটি পদ গ্রহণে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এরপর আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।