আমরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী : মানসম্পন্ন কাজ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আইএমইডির সচিব বললেন

স্টাফ রিপোর্টার: বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মফিজুল ইসলাম বলেছেন, মাস্টারপ্লান করেই সকল প্রকার উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হবে। ব্যক্তি নয়, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ দেখতে হবে। কোয়ানটিটি নয়, আমরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সচিব মফিজুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বেলা ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মফিজুল ইসলাম প্রতিটি দফতর ধরে ধরে সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), গণপূর্ত অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাগণসহ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী প্রমুখ। সচিব মফিজুল ইসলাম ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মুজিবনগর ভায়া মেহেরপুর সড়কের উন্নয়নে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন এবং যথাযথ মান অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। সচিব বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলকভাবে টাঙাতে হবে। যেখানে কাজের নাম, পরিমাণ, বরাদ্দ ও ঠিকাদারের দাম লেখা থাকতে হবে। ঠিকাদার নয়, জনগণের স্বার্থ আগে দেখতে হবে।
এলজিইডির রাস্তা আঁকাবাকা ও ৯০ শতাংশ রাস্তার দু’ধার উঁচু উল্লেখ করে সচিব বলেন, মাস্টারপ্লান অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কোনো রাস্তা ইনজুরি হলে সাথে সাথে মেরামত করতে হবে। যাতে বড় গর্তের সৃষ্টি না হয়। রাস্তার মাইলস্টোন ও মার্কিং ঠিক রাখতে হবে। সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সচিব আরও জানান, এখন থেকে প্রতিটি রাস্তার কেস হিস্ট্রি লিপিবদ্ধ করা হবে। কোন রাস্তায় বরাদ্দের আগে খোঁজ নেয়া হবে, কোন রাস্তায় কতদিন আগে কতটাকা ব্যয়ে কি ধরনের কাজ করা হয়েছে, এসব হিসেব করা হবে। সচিব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা জোরদারসহ জেলাকে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এজন্য বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টয়লেট ভেঙে ফেলতে হবে। যে গুলো সংস্কার করে চালানো সম্ভব, সেগুলোকে সংস্কার করতে হবে। টয়লেটগুলোকে ব্যবহারের উপযোগী ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ময়লা আবর্জনা সরিয়ে পরিছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। জেলা প্রশাসকের উদ্দেশে তিনি ঘোষণা দেন, সত্যিকার অর্থে শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা গেলে পুরস্কৃত করা হবে। সচিব একই ভাবে অন্যান্য দফতরের উন্নয়নের বিষয়ে খোঁজ নেন এবং করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের শেষ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ সচিব মফিজুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অন্যতম। আপনার পরামর্শ আগামী দিনে ভালো কাজে সহায়ক হবে।’