আবারও সদর থানা পুলিশের এসআই মনিরের বিরুদ্ধে ফেনসিডিলসহ আসামি ধরে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ !

 

খাইরুজ্জামান সেতু: আবারও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মনিরের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফেনসিডিলসহ আসামি ধরে অর্থবাণিজ্য করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একের পর এক অর্থবাণিজ্যে আসামি ধরা আর ছাড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন?

সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মনির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দু বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর আকন্দবাড়িয়া গাঙেরধার পাড়ার ইকরামুলের স্ত্রী শুকতারা ওরফে পারভীনা খাতুনকে। বহুদেন দরবার করে ৩০ হাজার টাকা অর্থবাণিজ্য করে পারভীনাকে ছেড়ে দিয়ে যায় এবং রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাদকসেবী সাইফুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, গত শনিবার রাত সাড়ে সতাটার দিকে এসআই মনির একই গ্রামের জনৈক নাজমুলকে ফেনসিডিলসহ ধরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। দিন পনের আগে এসআই মনির দামুড়হুদার জনৈক এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেলসহ ভিমরুল্লার জেলখানার কাছ থেকে গ্রেফতার করে ৫০ হাজার টাকা বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ আছে। এদিকে ১ সেপ্টেম্বর এসআই মনির ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের বড়শলুয়া গ্রামের তোফাজ্জেলের স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৪০) গাঁজাসহ ধরে ২১ হাজার টাকা অর্থবাণিজ্য করে ছেড়ে দেন তিনি। সূত্র বলেছে, এসআই মনির শাদা পোশাকে তার অনুসারী ১/২ জন কনস্টেবলকে সাথে করে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গানা দিয়ে এ ধরনের একেরপর এক কর্মকাণ্ড দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন। এসআই মনিরের এহন কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশি ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। এ বিষয়ে এসআই মনির অর্থবাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পারভীনা ও আমেনা বেগমকে গ্রেফতার ও ছাড়া হয়েছে মানবিক কারণে, তবে নাজমুল নামের কাউকে আমি গ্রেফতার করেনি বলে জানান। বিষয়টি প্রতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে ভুক্তোভোগীমহল।