নিউমোনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি : দু শিশুর মৃত্যু
আহসান আলম: দু দিনের অবিরাম বর্ষণ বন্ধ হলেও বাতাসে এনেছে শীতের আমেজ। এতেই বেড়েছে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গতকাল শনিবার দু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভর্তি রয়েছে ৫১ জন। এর মধ্যে গতকালই ভর্তি করা হয়েছে ১৯ শিশু। ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি শিশু রোগী নিয়ে চিকিৎসক ও সেবিকাদের উঠছে নাভিশ্বাস।
নিউমোনিয়া রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে শিশুদের প্রতি যতœবান হওয়ার তথা একটু বেশি বেশি খেয়াল রাখার ওপর জোর দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন। তিনি বলেছেন, প্রতিবারই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় নিউমোনিয়া রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। গরমের পোশাকে রাখার পর বুঝতে না বুঝতেই শীত পড়ার কারণেই মূলত এমনটি হয়। আবার বৃষ্টির কারণে একটু বেশি গরম কাপড় দিয়ে শিশুদের ঢেকে রাখার কারণেও ঘেমে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে মায়েদের এ বিষয়ে সচেতন করতে পারলে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ থেকে রক্ষা করা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ১৪, ডায়রিয়া ও বিশেষ শয্যা দিয়ে মোট ২৪টি। শিশু রোগীর সাথে শুধু শিশুর মা-বাবাই থাকেন না, থাকেন আরও অনেকে। এ কারণে ভিড় যেন উপচে পড়ে। এতে চিকিৎসাসেবা দেয়ার পরিবেশও বিঘিœত হয়। সব মেনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরও কিছু অভিভাবক আছেন যারা সেবিকাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে কাজের আগ্রহ হারায়। এরকমই মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের একসূত্র বলেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু রোগীর মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ১ বছরের নিচে। গতকাল যে দু শিশু মারা গেছে তার মধ্যে এক শিশু গতকালই হাসপাতাল এলাকার এক ক্লিনিকে ভূমিষ্ঠ হয়। সে ভগিরথপুরের রেজাউল হকের ছেলে। অপদিকে গতকালই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দামুড়হুদা সুলতানপুর মাঠপাড়ার অব্দুল কাদেরের দেড় বছর বয়সী ছেলে ইব্রাহিমকে। নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ইব্রাহিমকে হাসপাতালে ভর্তির আধাঘণ্টার মাথায় মৃতুূ হয়।