আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করতেই বিএনপির ভোট বর্জন

স্টাফ রিপোর্টার: সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করতে বিএনপি ভোট বর্জন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি- ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিএনপি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করতে ভোট বর্জন করেছে। মঙ্গলবার বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব কথা বলেন। তার দাবি, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের কারণ হিসেবে তারা (বিএনপি) যে অভিযোগ করছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোট বর্জন কারচুপির অভিযোগ বিএনপির নতুন কিছু নয়। এটা পূর্বপরিকল্পিত। কারণ তারা জানতো বিগত দিনে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, তাতে জনগণের সমর্থন পাবে না। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির পরে সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য খালেদা জিয়া ৩ মাস দেশের মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। সন্ত্রাস ও পেট্রোলবোমা মেরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনরোষের শিকার হয়ে কর্মসূচি থেকে বের হওয়ার জন্য কৌশল হিসেবে নির্বাচনে এসেছিলেন। এটা তার কূটকৌশল ছিলো।

হানিফ আরও বলেন, সিটি নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছিলো। সরকারের কৌশলের কারণে তারা ষড়যন্ত্রে সফল হয়নি। চট্টগ্রামে মেয়র মনজুর আলমের সঙ্গে বিএনপি চরম বেইমানি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, পোলিং এজেন্টের তালিকা তৈরি করেও তা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়নি বিএনপি। ফলে কেন্দ্রগুলোতে পোলিং এজেন্ট এমনকি নেতাকর্মীদের না পেয়ে রাগে ক্ষোভে মনজুর শুধু সরে দাঁড়াননি, রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে প্রথমে শুনেছিলাম বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু নির্বাচন করবেন, কিন্তু এমন একজন সমর্থকের স্বাক্ষর নিয়েছিলেন, যিনি উত্তরের ভোটারই না। আর দক্ষিণে আবদুস সালাম শক্তিশালী প্রার্থী হলেও সমর্থন দেয়া হয়েছিল আব্বাসকে। যিনি অনেক মামলার আসামি।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে নাটক শুরু করলেন। তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী হামলা করল, গুলি করল সাধারণ মানুষকে। সিটি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের জনগণের রায় মেনে নিতে আহ্বান জানান হানিফ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আবদুস সোবহান গোলাপ, বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, অসীম কুমার উকিল, আফজাল হোসেন, আবদুর রহমান, একেএম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।