আদালতের হাজতখানার রড কেটে পালানো সেই শাহীন পুলিশি রিমান্ডে

 

ব্লেড সরবরাহকারী ভাবীসহ হাজতি ভাই সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতের গরাদ কেটে পালানো শাহীনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল থেকে ৪ দিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে তার। সে কার কার সহযোগিতায় আদালত হাজতখানার টয়লেটের ভেন্টিলেটারের রড কেটে পালিয়েছিলো তা জানতেই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই খলিলুর রহমান বলেছেন, রড কাটতে কবে কীভাবে কে ব্লেড দিয়েছিলো তা যেমন জানার চেষ্টা চলছে, তেমনই তাকে পালাতে কে কীভাবে সাহস জোগিয়েছে তাও জেনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গবরগাড়ার মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে শাহীন গত বছরের ১৬ অক্টোবর এতিমখানাপাড়ার একটি বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। তার বিরুদ্ধে চুরিসহ হত্যা অপচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়। ধরা পড়ার পর থেকেই সে হাজতে ছিলো। গত ১ জুলাই আদালতে হাজিরার জন্য তাকে আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়। পূর্ব থেকেই কিছুটা কেটে রাখা রড ওই দিন পুরোটা কেটে পালিয়ে যায়। পোড়াদহ থেকে গত ১৬ আগস্ট তাকে আটক করে চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হয়। ধরা পড়ার পর সে জানায়, তাকে রড কাটার ব্লেডটা ঝিনাইদহ পাগলাকানাইয়ের এক ভাবী জেলা কারাগারেই দেখা করতে গিয়ে সরবহরাহ করে। হাজতি এক বড় ভাই তাকে পালানোর সাহস জোগায়। পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানায়। বিজ্ঞ আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।