আতঙ্কে কাঠমাণ্ডু ছাড়ছেন নেপালিরা : ত্রাণকাজে ধীরগতিতে ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ত্রাণকাজে ধীরগতিতে ক্ষোভ সঞ্চার হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে তৃতীয় রাত কাটানো বিপন্ন হাজারো মানুষের মাঝে। ভূমিকম্প লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া দেশটিতে বিরাজ করছে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ত্রাণ পৌঁছে দিতে  হিমশম খাচ্ছে ত্রাণকর্মীরা। শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্প পরবর্তী পরাঘাতে বারবার কেঁপে উঠছে নেপাল। আতঙ্কিত নেপালিরা রাজধানী কাঠমাণ্ডু ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে। গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪ হাজারের কাঁছাকাছি দাঁড়িয়েছে বলে একাধীক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
                একের পর এক  ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অনুভূত হওয়ার কারণে বারবার বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর। আর এতে অন্য বিমানের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ত্রাণবাহী বিমান চলাচলও। গুরুত্বপূর্ণ সব মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে আছে ভূমিধসে। বির্স্তীণ এলাকাজুড়ে বহু গ্রাম বিদ্যুত, পানিহীন হয়ে পড়েছে। নেই খাবার কিংবা অন্য কোনো সহায়তা।

রাজধানীতে বাইরের দেশগুলো থেকে নানা ধরনের ত্রাণ এসে পৌঁছতে শুরু করলেও যোগাযোগ,  সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এবং প্রয়োজনীয় হাতিয়ারের অভাবে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

কাঠমাণ্ডুর বাইরে এক ছাত্রী জানায়, তারা পরিবারসহ আশ্রয় নিয়ে আছে এক খেলার মাঠে একটি প্লাস্টিক শিটের নিচে। এলাকাটিতে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই ছাত্রীর উক্তি, সরকার থেকে কেউ এক গ্লাস পানি দিয়েও আমাদের সাহায্য করতে আসেনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেও কেউ আসেনি। একেবারেই অসহায় অবস্থায় আমরা এখানে পড়ে আছি। জাতিসংঘের শিশু তহবিলের হিসাবমতে প্রায় ১০ লাখ শিশু ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা পানিবাহিত রোগসহ আরো নানারকম সংক্রামক রোগে ভোগার ঝুঁকিতে আছে।