আতঙ্কিত জনপদের নাম এখন দামুড়হুদা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা এখন আতঙ্কের জনপদ। চাঁদাবাজি লেগেই আছে। একের পর এক হত্যা, ডাকাতি ও বোমাবাজি গোটা এলাকাবাসীকে তটস্থ করে তুলেছে। অপরাধীদের তেমন কাওকে ধরতে না পারায় সাধারণ মানুষের মধ্যে পেয়ে বসেছে অজানা আতঙ্ক, ভয়। কে জানে কখন কোথায় ডাকাতি হয়, কাকে হতে হয় খুনের শিকার?

গতকাল রোববার সন্ধ্যারাতে কার্পাসডাঙ্গায় পরিকল্পিত ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতদল দীর্ঘ সময় ধরে ডাকাতি শেষে পালানোর সময় পর পর ৬টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদা বোয়ালমারীর কানাইবাবুর আমবাগানে দুজনকে খুন করা হয়। খুনিরা মেহেরপুর মহাজনপুরের ইটভাটা শ্রমিক শাহাবুর সাগর ও সেলিম শেখকে ইটভাটা থেকে তুলে নিয়ে খুন করে। ইটভাটার মালিক মিজানুর রহমান কাজলের কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তার স্টার ইটভাটার শ্রমিকদের অপহরণ করে খুন করা হয় বলে জানা গেলেও নিহত দুজনই চরমপন্থি দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। পূর্ববিরোধের কারণে খুন হতে পারে বলেও মন্তব্য পুলিশের। যে কারণেই হোক, জোড়া খুনের পর আতঙ্ক চরমে রূপ নেয়। পরদিন ঘটে আরো একটি খুনের ঘটনা। দামুড়হুদার নাপিতখালী গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে শফিউদ্দীনকে পার্শ্ববর্তী শেওড়াতলার মাঠে খুন করা হয়। এ খুনের আড়াল পরকীয়া বলে পুলিশ মন্তব্য করলেও প্রকৃত ঘাতক শনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি এলাকাবাসীর। এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি রাতে দামুড়হুদার গোবিন্দপুরে একদল অস্ত্রধারী বোমাবাজ তাণ্ডব চালায়। তারা গ্রামে গণহারে বোমা মেরে ও কুপিয়ে নারী-পুরুষসহ ১০ জনকে আহত করে। তাছাড়া ইটভাটাগুলোতে তো চাঁদার দাবিতে চাঁদাবাজচক্রের অপতৎপরতা লেগেই রয়েছে।

দামুড়হুদায় একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলেও অপরাধীদের ধরে আইনে সোপর্দ করতে না পারায় পুলিশকে পড়তে হচ্ছে বিরূপ সমালোচনার মুখে।