আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে মুক্তি-টগর বাহিনীর প্রধান হাবিবের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

 

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের দায়ের করা মামলা : চুয়াডাঙ্গার যুগ্মজেলা জজ ২য় আদালতের রায়

স্টাফ রিপোর্টার: আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার অপরাধে আলমডাঙ্গা বিনোদপুরের হাবিবুর রহমান হাবিবকে ১৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার যুগ্মজেলা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুর রহীম গতকাল মঙ্গলবার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।

দণ্ডিত আসামি পলাতক রয়েছে। তার গ্রেফতারের দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে বলে বিজ্ঞ বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বিনোদপুরের দাউদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানকে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। পুরাতন পাঁচলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, একদল অস্ত্রধারী পুরাতন পাঁচলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে গোপন বৈঠক করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মুক্তি-টগর বাহিনী প্রধান হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় একটি শাটারগান ও এক রাউন্ড গুলি। আলমডাঙ্গা থানার তৎকালীন এসআই তাজুল বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। এক পর্যায়ে জামিনে মুক্ত হয়ে হাবিব আত্মগোপন করে। চুয়াডাঙ্গা জেলার যুগ্মজেলা জজ ২য় আদালতে বিচার শুরু হয়। তার অনুপস্থিতিতেই বিজ্ঞ আদালত মামলার ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে তথা অস্ত্র আইনের ১৯ এর ‘এ’ ধারায় ১০ বছর ও গুলি রাখা তথা অস্ত্র আইনের ১৯ এর ‘এফ’ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।