আগামী বছর প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থী উপবৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস (পিসিসিআর) ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুলগুলোর পরিচালনা পর্ষদে যারা থাকেন তারা সবাইকে উপবৃত্তি দিতে চান। এজন্য তারা স্কুলের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখান। এতে দুটো সমস্যা হচ্ছে- প্রথমত প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যাচ্ছে না, আবার অতিরিক্ত বই ছাপতে হচ্ছে।
মোস্তাফিজুর বলেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম উপবৃত্তির পরিমান বাড়াবো। কিন্তু সবাইকে দেয়ার ইচ্ছে আছে প্রধানমন্ত্রীর। আবার আমরা ভুল হিসাবের মধ্যেও আছি। এজন্য আগামী বছর সবাইকে উপবৃত্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশকে মাথাপিছু মাসিক ১শ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয়।
পার্বত্য এলাকাসহ যেসব প্রত্যন্ত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেসব এলাকায় সরকার আবাসিক ব্যবস্থাসহ স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান গণশিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য মাতৃভাষায় বই ছাপার কাজও চলছে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী বলেন, আমাদের উন্নয়নের সাথে সাথে প্রত্যাশাও বাড়ছে। যেকারণে প্রাপ্তির সাথে প্রত্যাশার ফারাক থাকছে। তবে একথা মানতে হবে, আমরা অনেক এগিয়েছি, আরও এগোতে চাই। আপনারা (আয়োজকরা) একটি সুপারিশমালা দেন। জাতীয় সংসদ অবশ্যই সেটি ইতিবাচকভাবে দেখবে। ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, সংসদ সদস্য শামসুল আলম দুদু, আবুল কালাম আজাদ, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, উম্মে রাজিয়া কাজল, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক ও সেইভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্ট টিম হোয়াইট আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।