আগামী ছয় মাসের মধ্যে ১৫০টি মামলা নিষ্পত্তি হবে

চুয়াডাঙ্গায় মোকদ্দমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী বললেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ১৫০টি মামলা নিষ্পত্তি এবং পুরাতন মামলার ক্ষেত্রে ১৫ দিন এবং নতুন মামলার ক্ষেত্রে দু মাসের মধ্যে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করতে হবে। সেক্ষেত্রে সকাল-বিকেল আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় আইনজীবীদের সহায়তা করতে হবে। গত বুধবার বিকেলে জেলা জজ আদালতের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা জজ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মোকাদ্দমার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পুরাতন মোকদ্দমা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময়সভায় মোকদ্দমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা জজ বিপ্লব গোস্বামী এসব কথা বলেন।

চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোকদ্দমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিপ্লব গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুন্ঠিত মতবিনিময় সভায় একই কমিটির সদস্য সচিব ১ম আদালতের যুগ্ম জেলা জজ মো. ইয়ারব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) নাজির আহমেদ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আব্দুল আলিম আল রাজী, যুগ্ম জেলা জজ (২) আব্দুর রহিম, জীবননগর সহকারী জজ সাজেদুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৈয়ব আলী ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম, মোল্লা আব্দুর রশিদ (জিপি), মহ. শামসুজ্জোহা-পিপি, সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাবেক পিপি শাহ আলম, সিনিয়র আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন ও এসএম আসাদুজ্জামান গণি সালাম বক্তব্য রাখেন।

আইনজীবীরা বক্তব্যে এ সময় বলেন, আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে বড় বাঁধা বিচারক সঙ্কট। তাই দ্রুত বিচারক সঙ্কট দূর করতে জেলা জজের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারাধীন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মোকদ্দমার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পুরাতন মোকদ্দমা দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির ১৫৭ জন আইনজীবীর মধ্যে থেকে ৩৩ জন আইনজীবীকে জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী মনোনীত করেছেন। মনোনীত আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- এসএম ইমদাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন, রবকুল হোসেন, মনিরুজ্জামান (১), মো. আলাউদ্দিন, আশরাফ আলী, এসএম রফিউর রহমান, মোল্লা আব্দুর রশিদ, সেলিম উদ্দিন খান, রনজিৎ কুমার ঘোষ, শহিদুল ইসলাম (১), এসএম আসাদুজ্জামান গনি সালাম, শাহ আলম, আব্দুর রশীদ চৌধুরী, আব্দুস সামাদ, মাহতাব হোসেন, আব্দুল ওহাব মল্লিক, মোশারফ হোসেন, আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম, এমএম শাহজাহান মুকুল, সোহরাব হোসেন (১), আবুল বাশার, সোহরাব হোসেন (২), আকসিজুল ইসলাম রতন, সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, মইন উদ্দীন মইনুল, মনজুর হোসেন, সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম, মহ. শামসুজ্জোহা, তালিম হোসেন, ফজলে রাব্বী সাগর ও নাজমুল হাসান লাভলু।