‘আকাশ প্রদীপ’ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ বিমানের তৃতীয় বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ‘আকাশ প্রদীপ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বহরে চতুর্থ প্রজন্মের এ বিমান উদ্বোধনকালে গতকাল তিনি বলেন, এটি বিমান শিল্পের উন্নয়ন ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বিদেশে বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ করে এবং বিশ্বে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে উড়ে চলে। এ জন্য বিমানকর্মীদের পেশাদারত্ব ও উন্নত সেবার ওপর জাতির মর্যাদা ও সম্মান নির্ভর করে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে ডিসি-৩ বিমান নিয়ে জাতীয় এয়ারলাইন্সের যাত্রা শুরু হয়।

উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ডিসি-১০ বিমানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ডিসি-১০’র শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে কুয়েত হয়ে বার্মিংহাম  পৌঁছুবে। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে বর্তমানে সচল একমাত্র ডিসি-১০ বিমানের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হবে। এরপর ডিসি-১০ যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির জাদুঘরে থাকবে। গতকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা, বোয়িং  কোম্পানির পরিচালক (ইন্টারন্যাশনাল সেলস) সবিতা গৌড়া ও বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী  বলেন, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে এভিয়েশন শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমানও বৈশ্বিক পরিসরের সাথে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর নতুন বিমান কেনাসহ বিমানবন্দর উন্নয়নে পদক্ষেপ  নেয়। সেসময় কার পার্কিং ও বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। উন্নত সেবা পেলে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই বাংলাদেশ বিমানকে তাদের পছন্দের শীর্ষে রাখবে। বিমানের ক্যাটারিং সার্ভিস উন্নত করা প্রয়োজন এবং ই-টিকিট ও শুল্কমুক্ত স্কাই শপিং চালু করতে হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হজের সময় বিমানের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতে সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে যাত্রীদের সরাসরি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত যাওয়ার সুবিধার্থে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। আগামী মাসে চতুর্থ বোয়িং বিমান বাংলাদেশ বিমান বহরে যুক্ত হবে এবং পরের বছর আরও একটি আসবে। এছাড়া, অভ্যন্তরীণ সব রুট সচল করে এর জন্য দুটি  ছোট বিমান কেনা হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিমান পরিবহনের জন্য সকল অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোরও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা করেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী কেক কেটে নতুন সংযোজিত বোয়িং ‘আকাশ প্রদীপ’-এর উদ্বোধন করেন।