আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদুল হক বিশ্বাসের প্রচার ফেস্টুন কুপিয়ে ভাঙচুর ও দু কর্মীকে মারধর

স্টাফ রির্পোটার: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের প্রচার-প্রচারণা বাধার মুখে পড়েছে। সম্ভাব্য প্রাথীর ছবি সংবলিত ফেস্টুন কুপিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় দু কর্মীকে মেরে আহত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আলমডাঙ্গার নাগদাহের বদা মিয়ার ছেলে রুমি ও কুটিপাইকপাড়ার আনছার মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ন সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের ছবি সংবলিত র্নিবাচনী ফেস্টুন আলমসাধুযোগে ঘোলদাড়ী বাজারে নিয়ে যান। এ সময় ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে ৩০-২৫ জনের একটি দল এসে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আলমসাধুতে থাকা ৬০টি ফেস্টুন দা ও লাঠি দিয়ে কুপিয়ে কেটে দিয়ে যায়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আসাদুল বিশ্বাস অভিযোগ তুলে বলেছেন, ঘোলদাড়ি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীর ছেলে বেলু চৌধুরী ও পাইকপাড়ার লটু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ঘোলদাড়ি গ্রামের কালাম হোসের ছেলে আনন্দ ও লাটিম, ভেদামারীর মৃত সবেদ আলীর ছেলে আবুল হাসনাত, জাকের কুরফা, মিনাজউদ্দিনসহ তাদের লোকজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্টপ্রতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় ও তার নিজের ছবি সংবলিত নির্বাচনী ফেস্টুন কেটে দেন। এছাড়া ওই ব্যক্তিরা ঘোলদাড়ি বাজার, টাকপাড়ার মোড়, পাইকপাড়া ত্রিমনি, ডালিম শাহের মোড়, আইলহাস বাজার, বাগুন্দা বাজার, চিলাভালকির মোড়ে তা-ব চালিয়ে আরও ৫০টি ফেস্টুন ভাঙচুর করেন।