আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২ : ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ১৩

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থকদের বিরোধ তুঙ্গে

কুষ্টিয়া/জামজামি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন এনামুল হক (৪৫) ও বিল্লাল হোসেন (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ফাঁকা গুলি। জড়িত সন্দেহে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের পর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যক্তি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝাউদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেনের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কেরামত আলীর সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর এ বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের প্রায় সংঘর্ষ চলে। তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাখইল গ্রামের নিজ বাড়িতে এলোপাতাড়ি কোপে নিহত হন বিল্লাল হোসেন। আর গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় এনামুল হকের লাশ। এ ঘটনায় আহত ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত এনামুল হক বখতিয়ার হোসেনের শ্যালক। বিল্লাল হোসেন কেরামত আলীর সমর্থক। দুই পরিবারের লোকজন সাথে কথা বলে জানা যায়, কেরামত আলী ও বখতিয়ার হোসেনের বিরোধের জের ধরে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম মেহেদি হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এটা গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। তবে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গ্রেফতার এড়াতে নারী পুরুষ  গা-ঢাকা দিয়েছে।উল্লেখ্য, গত বছর দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।