আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বাড়ছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বাড়ছে। এক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির চেয়ে ৮ থেকে ১০ জন বেড়ে সদস্যের সংখ্যা ৮১ থেকে ৮৩ হতে পারে। তবে বিগত সময়ের মতো ঢালাও নয়, এবার কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদকের সংখ্যা একশর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। গতকাল শনিবার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় সম্মেলন সফল করতে গঠিত দলের দফতর উপকমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, গত কয়েকটি সম্মেলনে ৭৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি হলেও এবার ‘নতুন কয়েকটি বিভাগ ও দেশের জনসংখ্যা’ বিবেচনা করে কমিটির পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে উপকমিটির সহসম্পাদকদের আধিক্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘উপকমিটির সহসম্পাদক ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েছে। পার্টি অফিসের সামনে যার সাথে ধাক্কা লাগে সেই বলে আমি আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের উপসম্পাদক নয়, উপকমিটির সহসম্পাদক- এ কথা তারা বলেন না। দফতর উপকমিটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় সম্মেলনে আটটি বুথ করে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কৌশলগত দিক থেকে যেটা দেখি সেটা হলো নতুন আইডিয়া। আমাদের ঐতিহ্য আছে। ঐতিহ্যের সঙ্গে টেকনোলজিকে যুক্ত করবো। এটা চলমান একটা ধারা। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের আত্মপ্রচারের ব্যাপারেও সতর্ক করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে কোন ধরনের আত্মপ্রচার চলবে না। কেউ নিজের নাম দিয়ে, ছবি দিয়ে পোস্টার-ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট বা বিলবোর্ড করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ২০তম সম্মেলন হতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর সারাদেশ থেকে আসবেন। এর বাইরে আর কতোজন ডেলিগেট জেলা থেকে আসবেন সেটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা আমাদের জানাবেন। দেশের ৭০টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২১টির তালিকা ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও দফতর উপপরিষদের সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে আগামী ২২ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আর ২৩ অক্টোবর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে মূল কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানেই আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে।