অ্যাম্বুলেন্সবিহীন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চরম ভোগান্তি

 

মাজেদুল হক মানিক/মহাসিন আলী: মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স নেই। এতে অন্য হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। নির্ধারিত সময়ে রোগী স্থানান্তর করতে না পারায় হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে স্বজনদের।

উল্লেখ্য, সাত মাস আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলাকালীন জামায়াত-বিএনপির সমর্থকরা পাবনায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র আম্বুলেন্সটি পুড়িয়ে দেয়।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর ছোট জেলা হলেও এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত শতাধিক রোগী আসেন। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ছয়-সাতজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের দেশের বড় বড় হাসপাতালে পাঠানো কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। চরম বিপাকে পড়ছেন রেফার হওয়া রোগীরা। সূত্র আরো জানায়, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে একজন রোগীকে স্থানান্তর করে হাসপাতালে ফেরার পথে পাবনার ঈশ্বদীরতে জোটের নেতাকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সটি পুড়িয়ে দেয়। পরে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটি থানায় নিয়ে যায়। তখন থেকে সেখানেই অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি। যা একেবারেই অকোজো বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ।

কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, রেফার্ড করা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়া যাচ্ছে না। এতে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। কখনো হাসপাতালে মৃতুর ঘটনাও ঘটছে।মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। যার কারণে মেরামতও করা যাচ্ছে না। তাই নতুন ছাড়া কোনো গতি নেই। অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বিব্রত অবস্থায় রয়েছি। রোগীরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। নতুন অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত নতুন অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের দাবি জানান তিনি।