অস্ত্রোপচারে ত্রুটির কারণে রোগীর মৃত্যু এ অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকে ভাঙচুর

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের অদূরবর্তী দেশ ক্লিনিক ভাঙচুর করা হয়েছে। ভুল অপারেশনে রোগী সাথী আক্তারের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে একদল যুবক ভাঙচুর চালায়। টেবিল চেয়ার তছনছ করা হয়।

এদিকে মৃত সাথী আক্তারের পিতা আলমডাঙ্গা বড় গাংনীর মাহবুব হোসেন তার কন্যাকে ভুল অপারেশনে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে প্রতিকার চাইলে সমঝোতার বৈঠক বসানো হয়। সূত্র বলেছে, ওয়াপদার মধ্যে বৈঠকে জানানো হয়, ডা. শফিকুল ইসলাম ঢাকা থেকে সপ্তার শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার দেশ ক্লিনিকে আসেন। রোগী দেখেন। প্রয়োজনে অপারশেন করেন। যেহেতু তিনি ঢাকায় ফিরেছেন সেহেতু তিনি ফিরলে তাকে নিয়েই বৈঠকের আয়োজন করা হবে। অপরদিকে সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ গতকালই বিকেলে পৃথক বৈঠকে বসে ক্লিনিক ভাঙচুরের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করেছেন বলে জানা গেছে। মামলা নাকি সমঝোতা? বৈঠকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বড় গাংনীর মাহবুব হোসেনের মেয়ে সাথী আক্তারের সাথে খাদিমপুর ইউনিয়নের জুগিরহুদা মাঝেরপাড়ার আবুল কালামের বিয়ে হয়। দাম্পত্য ছিলো সুখের। সাথীর টনসিলে সমস্যা দেখা দিলে সপ্তাখানেক আগে চুয়াডাঙ্গার দেশ ক্লিনিকের চেম্বারে ডা. শফিকুলকে দেখানো হয়। তিনি নাক-কান গলা বিশেষজ্ঞ বলে জানান ক্লিনিক মালিন আশাদুজ্জামান আশা। রোগীর লোকজন এ তথ্য দিয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, গত শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো একই চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাজির হন সাথী আক্তার। অপারেশনের কথা বলা হয়। ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়। একপর্যায়ে ক্লিনিক মালিক আশাসহ তার লোকজন জানান, রোগীকে এখনই রাজশাহী মেডিকেলে নিতে হবে। রোগীকে তোলা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে। আলমডাঙ্গা অতিক্রমের পর পরই রোগীর লোকজনকে জানানো হয়, রোগী মারা গেছে। বাড়ি ফিরিয়ে নিতে হবে। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ক্লিনিকের লোকজন চুয়াডাঙ্গা ফেরেন। সাথী আক্তারের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হলেও অভিযোগ তুলে বলা হয়, অপারেশন থিয়েটারেই রোগী মারা গেছে। ভুল অপারেশনেই মৃত্যু হয়েছে। পক্ষান্তরে অপারেশন করা চিকিৎসক অবশ্য বলেন, অপারশেনে ত্রুটি ছিলো না। অজ্ঞানের পর জ্ঞান ফেরেনি।

এ ঘটনার একদিন পর গতকাল সকাল ১১টার দিকে ১৫/২০ জনের একদল যুবক দেশ ক্লিনিকে চড়াও হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ক্লিনিকের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। ক্লিনিক মালিক আশাদুজ্জামান আশা অভিযোগ তুলে বলেন, আবু, রতনসহ তাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে। ক্লিনিকের আয়ার গলায় থাকা সোনার চেনসহ ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়েছে।